বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আমরা ৩’শ আসনের প্রার্থী রেডি করেছি, যেদিকে যাওয়া যায় সেদিকে যাবো। আর বেগম জিয়ার সিন্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে আমরা কিভাবে নির্বাচন করবো। যদি বেগম জিয়া নির্বাচনে না আসে আমরা একাই নির্বাচন করবো বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির কর্ণধার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
ভোটের মাঠে বড় সমর্থন না থাকলেও ক্ষমতার রাজনীতিতে এখনো ফ্যাক্টর সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও তার দল জাতীয় পার্টি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে আবারও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক হয়ে লড়বে দলটি। আর এইজন্য ৩’শ আসনের লড়াই করার মতো প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে রেখেছে জাতীয় পার্টি।
ক্ষমতার ভারসাম্য রাজনীতিতে জোটভুক্ত লড়াই এখন জনপ্রিয়। আর এ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে বরাবরই থাকে এরশাদের জাতীয় পার্টি। ১৯৯৬ সালে ৪ দলীয় জোটের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও, ২০০৬ সালে এসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট হয়ে ভোটের মাঠে নামে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৯টি আসনে লড়াই করে দলটি। এরপর ২০১৪ সালে ৪০টি আসনে জয়ী হয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলের পরিচয় পায় জাতীয় পার্টি।
বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের মন্ত্রিপরিষদ থেকে বিরোধী দলের ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ জাতীয় পাটি।
তবে এমন সব সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে আবারও আগামী নির্বাচনে এককভাবে ৩০০ আসনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টির কর্ণধার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আরও বলেন, দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। বেগম জিয়া আদালতের রায়ে জেলে গেছেন। তিনি ৫ বছর জেলে থাকার শাস্তি পেয়েছে। সেই প্রতি হিংসার রাজনীতি এখনো চলচ্ছে। আমরা আবার সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে পাবো কি না তার সন্দেহ আছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি এদেশে প্রতিষ্ঠা করেছে বেগম খালেদা জিয়া। আমাকে ৪২টি মামলা দিয়েছেন।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, রাজনীতির হিসেব নিকেশে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান অনেক ভাল হবে। তবে যাই হোক একাদশ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া উচিত। গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যহত রাখতে চাইলে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৯১ সালে জেলে থেকে নির্বাচন করেছিলেন। সেইবার তার দল পেয়েছিল ৫০টি আসন।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি