শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > নিবন্ধন পাচ্ছে বাকশাল, অংশ নেবে আগামী নির্বাচনে

নিবন্ধন পাচ্ছে বাকশাল, অংশ নেবে আগামী নির্বাচনে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বঙ্গবন্ধুর সর্বশেষ আদর্শ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) আবারও ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দলটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছে। শুধু তাই নয়, দলটির নিবন্ধন লাভ প্রায় নিশ্চিত বলে জানা গেছে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে দলটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো। সে সময় সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকসহ দলটির যথাক্রমে ৩ ও ৫ জন প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিতও হয়েছিলেন। তাই এ দলের নিবন্ধন পেতে কোনো অসুবিধা নেই।
সম্প্রতি বাকশালের মহাসচিব জহিরুল কাইয়ুম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন।
ইসির একজন উপ-সচিব বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে নিবন্ধন ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। এজন্যই হয়তো দলটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। যদিও এখন নিবন্ধনের সময় নয়, তবে সময় এলে এ দলটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। কেননা, নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে তাদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সিইসি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বাকশালের আবেদনটি নিবন্ধন যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে পর্যালোচনা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তারা একটি প্রতিবেদন শিগগিরই কমিশন বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
দলটির মহাসচিব বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারি বাকশাল গঠন করেছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যার পর নানা ষড়যন্ত্র ও পট পরিবর্তনে দলটি তেমন কার্যক্রম চালানোর সুযোগ পায়নি।
তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর জয়গান গাই। তাই আবারো নির্বাচনমূখী হয়ে জনগণের মুক্তির জন্য সংগ্রামে নামতে চাই। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়ার শুরুতে বাকশাল আবেদন করলেও এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন তাদের নিবন্ধন দেয়নি। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য, পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা।
শরিফ মুহাম্মদ আমিরুজ্জামানকে চেয়ারম্যান করে বাকশালের ১২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাহী কমিটি রয়েছে।
এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়েও তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম রয়েছে বলে জানান জহিরুল কাইয়ুম।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত আব্দুর রাজ্জাক বাকশালের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি পুনরায় বাকশাল উজ্জীবিত করেন। সে সময় ১৯৯১ পর্যন্ত তিনি নেতৃত্ব দেন। এরশাদের পতন হলে রাজ্জাক আবার বাকশালের বিলুপ্তি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এই সময়ের মধ্যে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে ৩ জন এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী বাকশালের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আইন অনুযায়ী প্রতি সাধারণ নির্বাচনের আগে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দিয়ে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য দলগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করে ইসি। সামনের নির্বাচনের আগেও নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তখনই বাকশালের আবেদনটি আমলে নেওয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বাকশালে প্রতীক হিসেবে রয়েছে কাস্তে ও হাতুড়ি। লাল-সবুজ-সাদা দলীয় পতাকায় খচিত রয়েছে চার তারকা। বাকশালের প্যাডের বাঁ পাশে রয়েছে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা স্লোগান। আর ডান পাশে রয়েছে ‘জয় হোক মেহনতি জনতার’ লেখা স্লোগান। বর্তমানে দলটি ফরিদপুর থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে।