সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

রমজান আসার আগেই নতুন করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এক সপ্তাহে চাল, ডাল, তেলসহ প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা করে বেড়েছে। প্রকারভেদে সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। রাজধানীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কারওয়ানবাজারে শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি। পাড়া-মহল্লার দোকানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা। শুক্রবার রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৪ টাকায়। মাসখানেক আগে পণ্যটি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮ টাকায়। মৌসুম শেষ হতে না হতেই বাড়তি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বাড়িয়েছেন। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫, ঝিঙ্গা ৪০, গাজর ৪০, করলা ৫০, কচুরমুখী ৪৫ থেকে ৫০, কাঁকরোল ৪০, বরবটি ৪০, টমেটো ৪০, ঢেঁড়স ৪০, পটোল ৪০, পেঁপে ৩০, বেগুন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে শুক্রবার। জালি কুমড়া বিক্রি হয়েছে আকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫, কাঁচাকলা হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০, লেয়ার মুরগি ১৭০, দেশি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০, গরুর মাংস ২৯০ থেকে ৩০০ ও খাসির মাংস ৪৫০-৪৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। শুক্রবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। ভারত সরকার পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পণ্যটির দাম ঢাকার বাজারে বেড়ে গেছে। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১০৫-১১০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১১৭ টাকা লিটার। শুক্রবার প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি। আর মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া বিআর আটাশ ৪০ থেকে ৪২, বিআর ঊনত্রিশ ৪০ থেকে ৪১, পারিজা ৩৮ থেকে ৪০, পোলাওর চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

রাজশাহীতে মূল্যবৃদ্ধি : আমাদের রাজশাহী ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার জনাব আলী জানান, রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা। কয়েকদিনের ব্যবধানে নগরীতে সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।শুক্রবার নগরীর সাহেববাজার, শালবাগান, বিনোদপুর, কাজলা ও কোর্ট কাঁচাবাজারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩২, পটোল ৩০, ঢেঁড়স ৩০, শসা ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে চিনি ৫০ থেকে ৫২, ছোলা ৬৪, মটর ৫০, খেসারি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে এর দাম ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা। এ বিষয়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু বাক্কার আলী বলেন, রাজশাহী চেম্বারের পক্ষ থেকে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।