শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > নাশকতার আশঙ্কা ইসির সার্ভারে

নাশকতার আশঙ্কা ইসির সার্ভারে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা সার্ভার স্টেশনে নাশকতার আশঙ্কা করছে ইসি সচিবালয়। ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত এসব সার্ভার স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। খোদ কমিশনও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাশকতার এই আশঙ্কা করছে ইসি। এর আগে ইসি সচিবালয়ের গেটে কয়েক দফা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একজন নির্বাচন কমিশনারকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির অনেক অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সারা দেশের সার্ভার স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের একটি চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এমনকি এ চিঠির কপি সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও (ওসি) দ্রুত পাঠানোর জন্য ইসির উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসির উপ-সচিব (সাধারণ) ইসরাইল হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সংবলিত চিঠি জরুরিভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারা দেশের প্রায় ৪৫০টি সার্ভার স্টেশনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে তারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এমনকি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির হামলা টার্গেটের মধ্যে ইসির এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও রয়েছে বলে ইসিকে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
ইসির কর্মকর্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভাণ্ডারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। এছাড়া প্রায় ১০ কোটি ভোটারের বায়োমেট্রি ডাটাসহ সব তথ্য রয়েছে। আর ইসির এসব তথ্য ব্যবহার করে দ্রুত একজন অপরাধী শনাক্ত করা সম্ভব। এজন্য জঙ্গিরা ইসির তথ্য ভাণ্ডার টার্গেট করছে বলেও মনে করেন কর্মকর্তারা। অন্যদিকে ইসির নতুন ভবনগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী খোয়া গেছে। এজন্য নিজস্ব এসব ভবনের নিরাপত্তা বাড়াতে ইসির নিজস্ব নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শীঘ্রই নৈশপ্রহরীর পদ সৃষ্টি করতে ইসির সংস্থাপন শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশব্যাপী ইসির নিজস্ব ভবনগুলো বর্তমানে সাধারণ ভবন নয়। আগে শুধু নির্বাচনী সামগ্রী সংরক্ষিত থাকত। এখন এসব ভবনে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তাই ভবনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনকে ভাবতে হচ্ছে। ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে- ইসি সচিবালয় ও ভোটার তথ্য ভাণ্ডার ছাড়াও ঢাকার বাইরে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের ৯টি আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন, ৩৮টি জেলা নির্বাচন অফিস এবং ৪১০টি থানা/উপজেলা সার্ভার স্টেশন নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এসব স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি। পাশাপাশি এসব ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ ইসির সব ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে- নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ের অফিসগুলো সরাসরি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আগমন ঘটে। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে অফিসগুলোর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সরকারি মালামাল এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাণ্ডারের বায়োমেট্রি ডাটাসহ ইলেকট্রনিক তথ্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত বা স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হতে পারে। এরই মধ্যে কয়েকটি অফিসের অতি দরকারী ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ক্যামেরাসহ অনেক সামগ্রী খোয়া গেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন