শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > নারী সাফের ফাইনাল খেলাই বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

নারী সাফের ফাইনাল খেলাই বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥
বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টগুলোয় বাংলাদেশের মেয়েরা উড়লেও সিনিয়র পর্যায়ে গিয়ে এখনো দাপট দেখাতে পারছেন না। কারণ বাংলাদেশে মেয়েদের ফুটবল মানেই তারুণ্যের জয়গান। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে যারা খেলেন তাদের সিংহভাগই বয়সভিত্তিক দলের।

জাতীয় দলের লড়াইয়ে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেন না বাংলাদেশের তরুণীরা। যে কারণে, জাতীয় দলের সাফল্য পেতে থাকতে হবে আরো অপেক্ষায়। কৃষ্ণা, মারিয়া, তহুরা, সাজেদা আর শামসুন্নাহাররা পরিণত হলেই সম্ভাবনা জাগবে ভালো কিছু পাওয়ার।

সেটা কেবল এশিয়া পর্যায়ে নয়, তার চেয়ে ছোট পরিসর দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিযোগিতাগুলোতেও। এ অঞ্চলের নারী ফুটবলে একচেটিয়া প্রাধান্য ভারতের। তাদের সমকক্ষ এখনো হয়ে উঠেনি কেউ। বাংলাদেশ আর ভারতের নারী ফুটবলের পার্থক্যটা ঢাকা-দিল্লির দূরত্বের মতোই। তাইতো দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন এখনো মুকুলেই বাংলাদেশের।

সর্বশেষ আসরে বাংলাদেশের মেয়েরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলে উঠেছিল ফাইনালে। ভারতের মাটিতে তীব্র লড়াই করে স্বাগতিকদের কাছে ফাইনালে ১-৩ গোলে হেরেছিল সাবিনারা। কিন্তু দুই বছর পর দুই দেশের জাতীয় দলের সাক্ষাতে নিজেদের আরো শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ভারতের মেয়েরা। অলিম্পিক ফুটবলের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে বাংলাদেশের জালে গুনেগুনে ৭ গোল দিয়েছে ভারত। ১১ নভেম্বর মিয়ানমারে এই শোচনীয় হার বাংলাদেশের মেয়েদের।

মার্চে নেপালে অনুষ্ঠিতব্য নারী সাফের পঞ্চম আসরের আগে ভারতের কাছে বড় হারটি তাড়া করে বেড়াবে সাবিনা-কৃষ্ণাদের। টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার ধারাটা থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ও আছে। কারণ নেপালও এখন বেশ শক্তিশালী। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম তিন আসরে হিমালয়ের দেশটিই ফাইনাল খেলেছিল ভারতের সঙ্গে।

১২ থেকে ২২ মার্চের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে নেপাল। অন্য দুই দল ভুটান ও পাকিস্তান। আরেক গ্রুপে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা। হিসেবটা সহজ সেমিফাইনালে ভারতকে এড়াতে হলে বাংলাদেশকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে নেপালকে পেছনে ফেলে। নিজেদের গ্রুপ ভারত চ্যাম্পিয়ন হবে সেটা স্বাভাবিকভাবেই অনুমেয়।

সেক্ষেত্রে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাবে মালদ্বীপ বা শ্রীলংকাকে। এই দুই দেশের কোনোটিকেই হারানো কঠিন না বাংলাদেশের জন্য। গ্রুপ পর্বে নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচটিই তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। বাস্তবতা বিবেচনা করেই বাংলাদেশ ফাইনালে চোখ রেখে খেলবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। পারলে সেটাই হবে সাবিনাদের জন্য সফলতা।

এপ্রিলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন প্রথমবারের মতো মেয়েদের নিয়ে বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এ টুর্নামেন্টের আগে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিযোগিতাটি বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য হবে দারুণ এক প্রস্তুতি। বাংলাদেশ সাফের ফাইনালে উঠলে পাবে ৫টি ম্যাচ। বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আগে যা হবে বড় একটা প্রস্তুতি। যদিও মেয়েদের ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্টই বাংলাদেশের জন্য ‘বিশ্বকাপ’।