শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > নারী-শিশু আগেও নির্যাতিত হতো : প্রতিমন্ত্রী

নারী-শিশু আগেও নির্যাতিত হতো : প্রতিমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেছেন, আগেও নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটতো। কিন্তু সেগুলো তারা প্রকাশ করতো না। কিন্তু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নারীদের এতটা ক্ষমতাধর ও ভয়েস রেইজ করেছেন যে, তারা এগিয়ে আসছে এবং ঘটনাগুলো প্রকাশ করছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের চতুর্থ দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

‘আপনি যেদিন দায়িত্ব নিলেন তার পরের দিন গণমাধ্যমে বলেছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন তেমনভাবে বাড়েনি বা ক্রাইসিস মোমেন্ট তৈরি হয়নি। এ বিষয়টি গণমাধ্যমেই বেশি প্রচারণা হচ্ছে’,- সভা শেষে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সংখ্যা যেটা বলছেন, সেটা আর ক্রাইসিস নিয়ে কথা বলেছি। এখনও আমি সেটাই বলব।

‘সেটা হচ্ছে আপনারা যে বলেন অনেক বেড়েছে, আমি আপনাদের থেকে পাল্টা জানতে চাই যে, এ বিষয়ে আপনাদের কাছে কি কোনো বেজলাইন সার্ভের ডাটা আছে, যার সঙ্গে তুলনা করে বলছেন যে, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংগঠন থেকে বলে, তাদেরই বা কি.. তারা যে গবেষণার মাধ্যমে বলে আমি জানতে চাই যে, তাদের ম্যাথডোলজি কী? তাদের স্যাম্পল সাইজ কী? তাদের ম্যাথড অব ডাটা কালেকশন কী? কী ইন্সট্রুমেন্ট তারা ইউজ করেছে?’

গত ১৩ জুলাই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া এই প্রতিমন্ত্রী বলছেন, আমি কিন্তু চাই না যে, একটা নারী কিংবা শিশু নির্যাতিত হোক। যে প্রসঙ্গে আমি বলেছি, সেটা হচ্ছে যে, আগেও কিন্তু নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ঘটনাগুলো ঘটেছে। কিন্তু তাদের সংখ্যা আমরা জানি না। কারণ, এখন প্রধানমন্ত্রীর বদৌলতে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া অগণিত। সেজন্য আমরা এখন জানতে পারছি যে, ওখানে ওতজন নারী নির্যাচন বা শিশু নির্যাতন হয়েছে।’

‘কিন্তু তার আগে কিন্তু আমরা তা জানতাম না। প্রধানমন্ত্রী নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। আজকে ডিসিদের সভায়ও আটজন নারী ডিসি আছেন। কিন্তু তার আগে কী নারীদের এ রকম অবস্থা ছিল? এখন নারী এত এমপাওয়ার্ড হয়েছে যে, আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মানুষ গোপন রাখতো। এখন শেখ হাসিনা নারীদের ভয়েস এত রেজ করেছেন যে, এখন এসব ক্ষেত্রে নারীরা নিজেরাই এগিয়ে আসছে এবং ঘটনাটা বলছে। যেটা আগে বলতো না।

আপনি কি বলছেন এ সংখ্যাটা বাড়েনি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাড়েনি সেটাও বলিনি, কমেছে সেটাও বলিনি। আমি বলছি যে, যদি বলি বেড়েছে তাহলে একটা কম্পেয়ার করে বলতে হয়। কিন্তু আমরা তুলনা করতে পারি না। কারণ, আমাদের কাছে বেজলাইন ডাটা নেই।’

এ বিষয়ে সরকারের কাছেও কি কোনো ডাটা নেই? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমিতো বলছি বেজলাইন ডাটা কোথাও নেই। এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে ডিসিদের এ বিষয়ে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। উনারা যাতে তাদের মনিটরিং, কো-অপারেশন বাড়ান- এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি।

নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় আপনাকে কি উব্দিগ্ন করে- এমন প্রশ্নে ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘অবশ্য উদ্বিগ্ন করে। কারণ, আমিওতো নারী।