স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: সৌদিতে আরও ২ লাখ নারীকর্মী পাঠাবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশাল সংখ্যক এই নারী কর্মীদের সঙ্গে তাদের নিকট আত্মীয়রা বিভিন্ন পেশায় সৌদি যেতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। সৌদি আরব গিয়ে ওই পুরুষ কর্মীরা ডমেস্টিক সার্ভিস-এর আওতায় কাজ করবেন। আজ বুধবার সকালে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, শিগগিরই দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সভায় বিষয়টি ঠিক করা হবে। তবে এটা দ্রুতই হবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম বিএসসি কয়েক দিন আগে সৌদি আরব সফরে গিয়ে সে দেশের শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী জানান, শুধু নারী শ্রমিকই নয় এখন থেকে অন্যান্য পেশাতে পুরুষ শ্রমিকও নেবে সৌদি। সম্প্রতি সেদেশ সফরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নারী এবং পুরুষ শ্রমিক পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেন জানান তিনি। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে নারীকর্মী নিতে কয়েক মাস আগে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। কিন্তু দেশটিতে তুলনামূলকভাবে কম নারীকর্মী যাচ্ছেন। নানা অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ থেকে নারীকর্মীরা সৌদি আরবে কম যাচ্ছেন বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
নারী শ্রমিকদের সঙ্গে নিকট আত্মীয় বলতে কারা যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্বামী, ভাই বা ঐ নারী যাকে নির্ধারণ করবে সেই ব্যক্তিই তার সঙ্গে যেতে পারবে। তবে গৃহকর্মী হিসেবে নারীর সঙ্গে যাওয়া এই আত্মীয়কে কাজ করতে হবে অন্যত্র। নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, এই সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ও বেড়েছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে আটকে থাকা জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে শিগগিরই একটা সমাধান আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তানা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে জনশক্তি রপ্তানির চিত্র তুলে ধরা হয়। মন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ৩০ শতাংশ বেশি বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে চার লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন শ্রমিক বিদেশে গেছেন। ২০১৫ সালে গেছেন পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮১ জন শ্রমিক। এই সময়ে নারীকর্মীদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩ হাজার ৭০৭ জন নারীকর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার সাতজন।