বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ২টি মামলার মধ্যে একটি মামলার চার্জশীটের বিরুদ্ধে আদালতে ‘নারাজী’ দিয়েছে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। এসময় অভিযুক্ত সাবেক র্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩৫ আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত আগামী ৮ জুলাই আদেশ প্রদানের দিন ধার্য করেন।
সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়ি চালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাত করা হয়েছিল।
গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশীটে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতারকৃত সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ র্যাবের চাকুরীচ্যুত তিনজন আলোচিত কর্মকর্তাসহ ৩৫জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে বিউটির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি। যাদের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারী হাজী ইয়াছিন মিয়া রয়েছে।
এ ঘটনায় গত ১১ মে আদালতে চার্জশীটের বিরুদ্ধে নারাজী আবেদন করেন নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিউটির মামলার আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, ত্রুটিপূর্ণ চার্জশীট ও এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দেয়ায় নারাজী দেয়া হয়েছে। সোমবার শুনানীতে আমরা না রাজীর পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেছি।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্তি পিপি ফজলুর রহমান জানান, সাত খুনের ঘটনায় নিহত চন্দন সরকারের পরিবার চার্জশীটে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেলিনা ইসলাম বিউটির না রাজী আবেদন হয়ে থাকলে সেটা বাতিলের আবেদন করেছি। আগামী ৮ জুলাই আদালত পরবর্তী শুনানি ও আদেশ প্রদানের দিন ধার্য করেছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার।
