শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > নারায়ণগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে নূর হোসেন

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে নূর হোসেন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

নারায়ণগঞ্জ থেকে: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে র‌্যাব-১ কার্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ কার্যালয় থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল ৮টা ২০মিনিটে নূর হোসেনকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে পৌঁছায় পুলিশি গাড়ি বহরটি। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জেই চলবে মামলার বিচারিক কার্যক্রম। শুক্রবার তাকে আদালতের কর্ম ঘণ্টার প্রথমেই নারায়ণগঞ্জ আদালতে তুলবে পুলিশ।

এর আগে র‌্যাবের হেফাজতে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে তাকে র‌্যাব-১ কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে নিয়ে আসা গাড়িটির সঙ্গে ছিলো আরও পাঁচটি গাড়ি।

র‌্যাব-১ এ আনার পর সংস্থাটির পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মুফতি মাহমুদ খান সকাল ৭টা ৫ মিনিটে সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কঠোর নিরাপত্তায় তাকে ঢাকায় নিয়ে এসেছি। এখন তার মেডিকেল চেকআপ হচ্ছে। চেকআপের পর তাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সংক্ষিপ্ত এ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ ছিলো না। র‌্যাবের এ কর্মকর্তার বক্তব্যের কয়েক মিনিট পরই নূর হোসেনকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছোটে পুলিশি গাড়িবহর। ঠিক একঘণ্টার মাথায় নূর হোসেনকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।

উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে দেওয়ার এক দিনের মধ্যে সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০মিনিটের দিকে বেনাপোল চেকপোস্টের জিরো পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা নূর হোসেনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান তখন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নূর হোসেনকে হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন- যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোকলেসুর রহমান, আলোচিত সাত খুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ, যশোর ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর লেয়াকত হোসেন, যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাব্বি হাশমি, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান, বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তরিকুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লারলামাপাড়া থেকে নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দনসরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

এরপর ২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই সহযোগীসহ নূর হোসেনকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

নিহত নজরুলের মতো নূর হোসেনও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ছিলেন। পরে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

সাত খুনের মামলায় র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন র‌্যাবের আট সদস্যসহ ১৩ আসামি। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম