বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ, যোগ দিলেন ইশরাক

নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ, যোগ দিলেন ইশরাক

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। সকালে নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী ইভিএম পুড়িয়েছে দলটির সমর্থকরা।

রোববার সকাল ৬টা থেকে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় প্রতীকী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে আসেন ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

এদিকে হরতাল ঘিরে নয়াপল্টনের সামনে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্বের অংশ হিসেবে মাঠে রয়েছে বিজিবিও।

বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, হরতাল গণতন্ত্রের অন্যতম অস্ত্র। গণতন্ত্রের এই অস্ত্রের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দাবি আদায় করব। হরতাল মানে কোন বিধ্বংসী কাজ নয়, হরতাল মানে আগুন দিয়ে পোড়ানো নয়। হরতাল হচ্ছে, শান্তিপূর্ণভাবে আমরা মানুষকে বলব গাড়ি চালাবেন না, আপনারা দোকানপাট খুলবেন না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাকে ভিন্নখাতে চিহ্নিত করেছেন, আমরা ওই খাতে যাব না। আমরা শান্তি অস্ত্র প্রয়োগ করব। আমাদের এখানে যত নেতাকর্মী আছে প্রত্যেকই শান্তিপ্রিয়। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রয়োজনে নিজের শার্টের বোতাম খুলে গুলি বরণ করব। তবু অশান্তির সৃষ্টি করব না। আমাদের রক্ত ঝরবে কিন্তু আমরা অন্য কারও রক্ত জড়াবো না।

এরপর রিজভী বিক্ষোভ কর্মসূচির বিরতি ঘোষণা করেন। বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা নাগাদ আবারও এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।

এর আগে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। তারা পুলিশ, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।

মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আসলে আজ ওয়ার্কিং ডে। ওয়ার্কিং ডে তো হরতালের কোনো অনুমতি নেই। হরতাল করে তারা গাড়ি ভাঙচুর করবে তা গ্রহণযোগ্য না। এখানে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। অতীতে আমরা দেখেছি তারা গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিতে পারে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি বলতে হরতাল করে তো গাড়ি ভাঙচুর করতে পারবে না।

সকাল থেকেই নয়াপল্টনে অবস্থান করছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।