স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলা সদর ও চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা এবং শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে ভেসে উঠেছে আরো তিনটি লাশ।
ভোলায় পাওয়া লাশটি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক যুবকের, তার নাম ফাহাদ। অন্য দুটি মৃতদেহ অজ্ঞাত পরিচয় দুই নারীর।
তারা মুন্সীগঞ্জে ডুবে যাওয়া লঞ্চ পিনাক-৬ এর যাত্রী ছিলেন বলে স্থানীয় পুলিশের ধারণা।
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামন জানান, সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রামদাসপুর এলাকার মেঘনা নদীতে এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে বুধবার সকাল ৯টার দিকে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
লাশ উদ্ধারের পর তার পকেটে পাওয়া মোবাইল ফোনের সিম থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই যুবকের নাম ফাহাদ, বাড়ি ঝালকাঠিতে।
“সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।”
লাশটি মাওয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
এদিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মাঝিরবাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে পাওয়া গেছে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ।
নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াসিন রতন জানান, বুধবার সকালে নদীতে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী খবর দেয়। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
হাইমচর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, তারা লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মাঝিরবাজারে লোক পাঠিয়েছেন।
চেয়ারম্যান ইয়াসিন রতন বলেন, “গতকালও চাঁদপুরে নদীতে লাশ পাওয়া গেছে। এই লাশ মুন্সীগঞ্জে লঞ্চডুবিতে নিহত কারো কি না- তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।”
মঙ্গলবার নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকার মেঘনা নদীতে থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ, যার মধ্যে একজন মুন্সীগঞ্জের ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী ছিলেন বলে পুলিশের ধারণা।
এদিকে বুধবার সকালে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চর আত্রা এলাকায় পদ্মা নদীতে আরো এক নারীর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
নড়িয়া থানার ওসি কবিরুজ্জামান জানান, নিহতের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। এ বিষয়ে মাওয়াঘাটে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে কাওড়াকান্দি থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাওয়া ঘাটে যাওয়ার পথে লৌহজং ক্রসিংয়ে ডুবে যায় লঞ্চ এমএল পিনাক-৬।
দুর্ঘটনার পরপরই নদী থেকে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬৯ জন নিখোঁজ যাত্রীর একটি তালিকা তৈরি করেছে লৌহজং থানা পুলিশ।