সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > ধেয়ে আসছে ভয়াবহ বন্যা

ধেয়ে আসছে ভয়াবহ বন্যা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, গঙ্গা। উজানের এই তিনটি পয়েন্টে পানি বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেছে। তিনটি পয়েন্টের পানিই ধেয়ে আসছে দেশের দিকে।

বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা অনুযায়ী বন্যা হলে ৮৮ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে

এদিকে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোয় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে গতকাল রোববারও। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও জেলার অন্তত ২০টি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। গ্রাম, গঞ্জ, হাট, জনপদ, লোকালয়Ñএকের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে জলরাক্ষসের করাল থাবায়। তলিয়ে যাচ্ছে রোপা আমনের ক্ষেত।

লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট ও দিনাজপুর জেলায় বানের তোড় থেকে বসতঘর রক্ষা করতে গিয়ে পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবারের সংকটে সীমাহীন দুর্ভোগে পানিবন্দি লাখো মানুষ।

এদিকে ৩টি স্থানে রেললাইন ধসে যাওয়ায় বুড়িমারী-লালমনিরহাট ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ এলাকায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া ডিভিশন সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার রাত থেকে বিপদসীমা অস্বাভাবিকভাবে অতিক্রম করতে শুরু করে তিস্তার পানি।

নীলফামারী, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, দমকল বাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

দিনাজপুর : পুনর্ভবা নদীর পানি অস্বাভাবিকহারে বাড়তে থাকায় দিনাজপুরে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। গতকাল পর্যন্ত জেলার ১৩ উপজেলায় ৩ শতাধিক গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যাজনিত কারণে দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। পুনর্ভবা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল সকালে শহরের কসবা ও মাহুতপাড়া পয়েন্টে শহর রক্ষাবাঁধ ভেঙে যায়। এতে কসবা, পুলহাট রামনগর, লালবাগ, পাটুয়াপাড়া ও বাঙ্গীবেচা মহল্লায় পানি ঢুকে পড়েছে। বাঁধ মেরামত ও দুর্গত মানুষকে উদ্ধারের জন্য রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ২টি দল কাজ করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিজিবি জওয়ানরা।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে ১৬টি নদ-নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ৯টি উপজেলায় সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার কল্যাণ এলাকায় ধরলা নদীর বাঁধ ভেঙে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের তিনটি স্থানের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বন্যার পানি। ভেঙে গেছে কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী উপজেলা সড়কের কিছু অংশ। এই সড়কের পাশে আরডিআরএস বাজারে ভাঙনকবলিত এলাকায় ৩০টি দোকান ভেঙে গেছে। রাজারহাটের কালুয়ারচরে বেড়িবাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে ২০টি বাড়ি। পানির কারণে ফুলবাড়ীর সঙ্গে নাগেশ্বরী উপজেলার যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কম-ল গ্রামে পাউবোর বেড়িবাঁধের ২০ ফুট ভেঙে গেছে। জেলার সহস্রাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্গত মানুষের জন্য মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে ৮৭টি।
এদিকে সাপের কামড়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খামার হলোখানা গ্রামে জোছনা নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু এবং বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে পৌর এলাকার ভেলাকোপা গ্রামের দেড় বছরের এক শিশু।

নীলফামারী : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা সদরের খড়খড়িয়া নদীর বাঁ তীরে পশ্চিম পাটোয়ারীপাড়া এবং বসুনিয়া এলাকায় শহর রক্ষাবাঁধের প্রায় ১০০ মিটার গতকাল সকালে ভেঙে প্লাবিত হয় উপজেলা সদরের কুন্দল, পাটোয়ারীপাড়া, নয়াবাজার, সুড়কিমিল, কাজীপাড়া, হাতিখানা, নতুন বাবুপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া এবং বাঁশবাড়ি মহল্লা। পরিস্থিতি ভয়াবহ বিবেচনায় ওই এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শহর রক্ষাবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সেনানিবাস এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পানি ঢুকে পড়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরেও যে কোনো সময় পানি ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী। এদিকে অস্বাভাবিকভাবে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের আশপাশ এলাকায়। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ব্যারাজ রক্ষায় ফ্লাড বাইপাশ কেটে দেওয়া হতে পারে যে কোনো সময়।
লালমনিরহাট : তিস্তা ও ধরলা নদীর পানির তোড়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর-লালমনিরহাট রেললাইনের তিনটি স্থানে মাটি ধসে যাওয়ায় এ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দরে একটি লোকাল ট্রেন আটকা পড়েছে। অন্য সব ট্রেনের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। শনিবার রাতে পাটগ্রাম ব্র্যাক অফিস এলাকায় ধরলার পানির তোড়ে একটি রেলব্রিজের পাশে বুড়িমারী-পাটগ্রাম রেলসড়কের মাটি ধসে যায়। একই রুটের হাতীবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন ও হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের মাঝামাঝি স্থানে এবং পারুলিয়া-ভোটমারীর মাঝামাঝি স্থানে তিস্তার পানির তোড়ে রেল সড়ক ধসে যায়।
গতকাল রবিবার বিকালে লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নের পশ্চিম বড়–য়া গ্রামে ধরলা নদীতে ডুবে দুটি পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া নিখোঁজ হন আরও ৩ জন। মৃত ব্যক্তিরা হলেনÑ পশ্চিম বড়–য়া গ্রামের মোজাম আলী (৪৫), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৮), একই গ্রামের আবদুুল হামিদ (৩৬) ও তার শিশুপুত্র হৃদয় (৯)।

কুলাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, ধরলার পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল বসতবাড়ি। চোখের সামনেই এমন দৃশ্য দেখে নিজের বসতবাড়ি রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই দুই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বাড়ি রক্ষা না হয়ে বরং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দুই পরিবারের ৪ জন। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিবেশী আরও ৩ জন নিখোঁজ হন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) উদয় কুমার ম-ল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই চারজনের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

রংপুর : গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার নিচু এলাকার ১৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। ভেসে গেছে কয়েকশ পুকুরের মাছ। পানিবন্দি মানুষ উঁচু জায়গা ও তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় তলিয়ে যাওয়া এলাকার বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর নগরীর অদূরে ভিন্নজগতের ক্যানেল বাঁধসহ আরও ৫টি বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত এসব স্থান মেরামত করা না হলে ক্যানেল উপচে দুই কূল প্লাবিত হতে পারে।

বগুড়া : যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। সেই সঙ্গে যমুনা, বাঙ্গালী ও করতোয়া নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের ফসলি মাঠ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পাউবো সূত্র জানায়, যমুনার পানি রবিবার সকালে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট : সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার সুরমা ডাইকের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে প্রত্যন্ত এলাকার। জৈন্তাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নই বন্যাকবলিত। কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের শেওলা অংশে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার : সদর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর শেরপুর অংশে শনিবার বেলা ৩টায় মনু নদীর চাঁদনীঘাট ও রেলওয়ে ব্রিজের কাছে পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘটসহ সব কটি নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। জেলা পাউবো ও রেলওয়ে মেরিন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ ছাড়া তিস্তা, করতোয়া ও ঘাঘটের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি আছে।

পঞ্চগড় : জেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পৌর এলাকাতেই পানিবন্দি রয়েছে তিন হাজার পরিবার। রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রবল স্রোতে পানিপ্রবাহের কারণে নয়নী ব্রুজ স্টেশন থেকে কিসমত স্টেশন পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রেলপথের পাথর সরে গেছে। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়-ঢাকা রেল যোগাযোগ।

ঠাকুরগাঁও : রেললাইনের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত দুদিন ধরে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জেলার ১১টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় ৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করে রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা। তাদের সহায়তা করে বিজিবি, পুলিশ, দমকল বাহিনী ও আনসার সদস্যরা।
জামালপুর : যমুনা নদীতে হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আবদুুল মান্নান জানান, বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৫৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনার পানি বর্তমানে বিপদসীমা থেকে আর মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।
শেরপুর : নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর অন্তত ১৩টি স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরসভাসহ উপজেলার অন্তত অর্ধশত গ্রাম আকস্মিক বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এতে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি ডুবে গেছে; ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

নেত্রকোনা : সোমেশ্বরী নদীর পানি দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার, কংশ নদের পানি পূর্বধলার জারিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার, উদ্ধাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ অভ্যন্তরীণ সড়ক ও হাটবাজার তলিয়ে গেছে। ৯টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ : যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কাজিপুর, চৌহালি, বেলকুচি, শাহজাদপুর এবং সদর উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জয়পুরহাট : টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জয়পুরহাটের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ফসল। পাঁচবিবি উপজেলার হারাবতী নদীতে ডুবে লুৎফর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ধোবাউড়া : পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কালিকাবাড়ী
গুদারাঘাট সংলগ্ন নিতাই নদীর উত্তর পার ভেঙে প্রবল স্রোতে ৭ ইউনিয়নের ৭২টি গ্রাম ও ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে।
নওগাঁ : পাহাড়ি ঢলে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। গত ২৬ ঘণ্টায় এ নদীর পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুটি বেড়িবাঁধ ভেঙে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শিব নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠাকুরমান্দা যাতায়াতের রাস্তা তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তিন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৩০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব নদীর বাঁধের ভেতরে থাকা অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার।

সূত্র : আমাদেরসময়