বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙে ৩০ গ্রাম প্লাবিত

ধলাই নদীর বাঁধ ভেঙে ৩০ গ্রাম প্লাবিত

শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ॥
গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর চারটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে নিম্নাঞ্চলের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি বহু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে ধলাই নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়ক প্রথমে পানিতে ডুবে যায়। অন্যদিকে, ভানুগাছ বাজার সংলগ্ন এলাকা, রামপাশা, আলেপুর এলাকায় ধলাই নদীর আরও তিনটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। পানি বাড়লে বাঁধের ওই তিন জায়গাও ভেঙে যাবে। এতে এর আশেপাশের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হবে।

বৃষ্টির পানিতে কমলগঞ্জ পৌর এলাকার আলেপুর, খুশালপুর, কুমড়াকাপন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মাধবপুর ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানি ঘরবাড়িতে ওঠায় লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার লাঘাটা, ক্ষিন্নী, বালিছড়াসহ পাহাড়ি ছড়ার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে গ্রামে প্রবেশ করায় রাস্তাঘাট নিমজ্জিত হয়েছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারায় বিল, শ্রীপুর, পাথারী গাঁও, কানাইদাশী ও গুলের হাওর গ্রাম, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ গ্রাম ও ছাইয়াখালি হাওরের পতনউষার ইউনিয়নের কেওলার হাওর, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রুপশপুর, শমশেরনগর ইউনিয়নের শিরাউলী, মরাজানের পর, সতিঝির গাঁওয়ের ব্যাপক এলাকার আমন ফসল তলিয়ে গেছে।

শুক্র ও শনিবারের টানা বৃষ্টিপাতে ধলাই নদীর আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও, কেওয়ালীঘাট ও তিলকপুর নামক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। এতে আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও, তিলকপুর, ঘোরামারা, রানীরবাজার, কেওয়ালীঘাট, কান্দিগাঁও, হোমেরজানসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। একইসঙ্গে পানিতে ফসলি জমি তলিয়ে যায়। পানি ওঠায় এ এলাকার দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ধলাই নদীর পৌরসভার আলেপুর গ্রামের মেরামত করা বাঁধ এবং সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ জরিফ মিয়ার বাড়ির সামনের বাঁধ ভেঙে এ অঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের সহকারী ব্লক সুপারভাইজার পূর্ণ কুমার সিংহ বলেন, পানিতে ইসলামপুর ইউনিয়নে ২শ’ হেক্টর জমির আমন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের আরও কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। ওই সব স্থানে ভাঙন দেখা দিলে অবস্থার আরও অবনতি হবে।

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ধলাই নদীর বাঁধ সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বৃষ্টি কমলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।