স্পোর্টস ডেস্ক ॥
বেশ লম্বা সময় ধরে চলমান ধর্ষণ মামলা থেকে অবশেষে রেহাই পেলেন পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সোমবার তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটর।
রোনালদোর বিপক্ষে অভিযোগ এনেছিলেন সাবেক মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা। ৩৪ বছর বয়সী এ মডেলের দাবী প্রায় ১০ বছর আগে, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন রোনালদো।
তবে ২০১০ সালেই কোর্টের বাইরে যৌথ সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন রোনালদো ও মায়োর্গা। কিন্তু গত বছরের শেষদিকে পুনরায় মামলাটি চালু করেন মায়োরগা। শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন রোনালদো।
যা অবশেষে কোর্টের মাধ্যমেই প্রমাণিত হলো। সোমবার আনুষ্ঠানিক এক বার্তায় লাস ভেগাস প্রসিকিউটর জানিয়েছে রোনালদোর বিপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমাণের জন্য কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই মায়োর্গার কাছে।
কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, মামলার ভুক্তভোগী ২০০৯ সালে যৌন নির্যাতনের শিকার করেছেন। কিন্তু বলতে পারেননি ঘটনা কোথায় ঘটেছে কিংবা কে তাকে নির্যাতন করেছে। যার ফলে পুলিশের পক্ষে পরবর্তী তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। মায়োর্গার অনুরোধেই গত বছরের অগাস্টে পুনরায় তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ।
প্রসিকিউটরের বার্তায় আরও জানা যায় যে পুনরায় তদন্তের পরেও রোনালদোর বিরুদ্ধে কোনো শক্ত তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। যে কারণে সামনে এ মামলার জন্য আর কোনো চার্জ হবে না রোনালদোর বিপক্ষে।
জার্মান সাপ্তাহিক ম্যাগাজিক দ্যর স্পাইগেলে এ ধর্ষণ মামলার বিপক্ষে গত বছর একটি আর্টিকেল ছাপা হয়েছিল। যেখানে উল্লেখ করা হয় যে ২০১০ সালে রোনালদোর কাছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার নিয়ে এ মামলার ব্যাপারে সমঝোতা করেছিলেন মায়োর্গা। তার আইনজীবী জানিয়েছেন মূলত #মিটু আন্দোলনের কারণেই এ মামলাটি পুনরায় চালু করা হয়েছিল।
ধর্ষণের কথা অস্বীকার করলেও, রোনালদো কখনোই বলেননি যে মায়োর্গার সঙ্গে তার দেখা হয়নি। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে যাই হয়েছে, তা ছিলো দুজনের সম্মতিতে। তখন ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলতেন রোনালদো।