সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ধর্ষণ করে হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ধারা অসাংবিধানিক

ধর্ষণ করে হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ধারা অসাংবিধানিক

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ধর্ষণ করে হত্যার শাস্তি সংক্রান্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারাটি অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ১৯৯৫ সালের আইনটির ৬(২) ধারায় ধর্ষণ করে হত্যার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড- এ বিধানটিকেই অসাংবিধানিক বলছেন আদালত।

একই সঙ্গে আইনটির ৬(৩) ও ৬(৪) ধারা এবং ২০০০ সালের সংশোধিত আইনের ৩৪(২) ধারাকেও অসাংবিধানিক বলা হয়েছে রায়ে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার (৫ মে) হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত রায় বহাল রেখে চূড়ান্ত এ রায় দেন।

একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’১৯৯৫ এর ৬(২) ধারা অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। এ মামলাটি আপিলে আসার পর শুনানি শেষে গত বছর রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার এর চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হলো।

আদালতে রিটকারীদের আইনজীবী ছিলেন এমআই ফারুকি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

রিট মামলাটির সূচনা হয় মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার শিবরামপুর গ্রামের একটি ধর্ষণ করে হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে। ১৯৯৬ সালের ১১ জুন ওই গ্রামের শুক্কুর আলী (১৪) একই গ্রামের সুমি (৭) নামের এক শিশুকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে বলে মামলা হয়। এ মামলায় ২০০১ সালের ১২ জুলাই বিচারিক আদালত শুক্কুর আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ২০০৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এবং ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রাখেন।

আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করা হলে ২০০৫ সালের ৪ মে রিভিউ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরপর ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’১৯৯৫ এর ৬(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। এ রিট আবেদনের একটি পক্ষ ছিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুক্কুর আলী। রিটের প্রেক্ষিতে তার ফাঁসির আদেশ স্থগিত হয়ে ছিল।

রিটকারীদের জুনিয়র আইনজীবী আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, আপিল বিভাগ সংশ্লিষ্ট আইনের ধারাগুলো অসাংবিধানিক বললেও শুক্কুর আলীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট আইনের ধারা অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়ার সময় শুক্কুর আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের মামলাটি নিয়ে আপিল বিভাগে যেতে বলেছিলেন। সে অনুসারে আমরা রিটের পাশাপাশি ওই রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করি। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম