বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় আছে কালো পতাকাধারী ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। জঙ্গিবাদ, নৃশংসতা আর নিষ্ঠুরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে এই কারেঅ পতাকা। বর্বরতার কারণে অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর চেয়ে আইএস ভিন্ন। শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার করতে তালেবান, আল-কায়েদা লড়াই চালাচ্ছে। আইএসও ধর্মের নামেই যুদ্ধ শুরু করে। তবে ধর্মের নামে তারা যে নৃশংসতা চালিয়েছে তা ইসলাম কেন কোনো ধর্মেই বলা নেই। তবে আইএসয়ের উত্থান ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে অনেক ধরনের বিতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএসএর উত্থান যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই। আর ধর্ম প্রতিষ্ঠা নয়, মাদক ব্যবসার পথ সুমগ করাই তাদের আসল উদ্দেশ্য।
২০০৯ সালে রেজা আসলান তার বই ‘হাউ টু উইন অ্যা কসমিক ওয়ার’ এ বলেছেন, জঙ্গি বা সন্ত্রাসবাদ একটা বড় ব্যবসা। যা মাদক ব্যবসার থেকে ভয়ংকর। আইএস ও আল-কায়েদার মধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ধর্ম প্রতিষ্ঠার নামে তাদের এই অবৈধ কাজের বৈধতা দেয়। তথাকথিত এই ইসলাম অন্তপ্রাণ জঙ্গিদের দাগী অপরাধী, অর্থ পাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ী থেকেই বড় অপরাধী। জঙ্গিরা ধর্মকে তাদের ব্যবসা চালিয়ে নিতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। ধর্ম যেহেতু মানুষের কাছে খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। আর এ ইস্যু দিয়ে খুব সহজেই মানুষকে ঘায়েল করা যায়। এ বিষয়টিকেই তারা কাজে লাগিয়েছে।
আসলান বলেছেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক জঙ্গিদের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা এ কাজে খুব একটা সফল হয়নি। কারণ সুবুদ্ধির কাছে তারা সব সময়ই পরাজিত হয়েছে। তাই তো তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা নামে ফিরে এসেছে। নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে তারা সব সময়ই স্পর্শকাতর বিষয়গুলো বেছে নিয়েছে। এক্ষেত্রে ধর্ম একটি মোক্ষম অস্ত্র। কিন্তু সাধারণ মানুষ জানে না তাদের মুখের কথার আড়ালে কত বড় মিথ্যা লুকিয়ে আছে। যা অবৈধ মাদক ব্যবসার থেকেই হাজার হাজার গুণ ভয়ংকর। তাইতো দুটোর মধ্যে একটা যোগাযোগও আছে।
গত ৩০ বছর ধরে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে বিশেষ যোগযোগ গড়ে উঠেছে। ২০০৮ সালে মার্কিন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির প্রধান মাইকেল ব্রাউন বলেন, তালেবানরা আফিম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারাই বিশ্বের মোটআফিস চালানের অর্ধেক সরবরাহ করে। এছাড়া ফার্ক গেরিলারাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মাদক ব্যবসা চালিয়ে যেতেই জঙ্গিদের মুখোশ পরে তারা। এটা টাকা আয়ের একটা অন্যতম উপায়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এ ব্যবসা নির্বিঘেœ চালিয়ে যেতেই ধর্মের মুখোশে কাজ করে যায় তারা। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট।