বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে চুরির ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপাইনে এনে ভাগাভাগি করে নেয়ায় জড়িত ক্যাসিনো জানকেট অপারেটর ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারি প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের উচিত তাদের কাছে যে টাকা এখনো রয়েছে তা দ্রুত ফিরিয়ে দেয়া।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) ফিলিপাইন পার্লামেন্টের অর্থ সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সিনেট কমিটির সদস্য বাম অ্যাকুইনো বলেছেন, ‘রিজার্ভ চুরির অন্যতম হোতা চীনা নাগরিক সোলারি ক্যাসিনোর মালিক কিম অং গত সপ্তাহে সিনেট কমিটির শুনানিতে ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি পর অন্য সুবিধাভোগিদেরও উচিত একই পথ অনুসরণ করা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত রিজার্ভ চুরির টাকার অংশ যেসব জানকেট অপারেটর, ক্যাসিনো মালিক এবং অনান্য প্রতিষ্ঠান পেয়েছে তাদের তা ফিরিয়ে দিতে রাজি করানো। কারণ এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা।’
চীনা ব্যবসায়ী কিম অং রিজার্ভ চুরির অর্থের বড় অংশ নিয়েছেন। পরে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা ক্যাসিনো জানকেট অপারেটরদের কাছে যায়।
সিনেট কমিটির শুনানিতে প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী কিম অং ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপাইন অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) কর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। চীনা এ ব্যবসায়ী যে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন তা থেকে অনেক বেশি পরিমান তিনি পেয়েছিলেন। সিনেট কমিটির শুনানিতে অং রিজার্ভ চুরির সঙ্গে দুই চীনা ব্যাবসায়ী জড়িত বলে জানিয়ে বলেন, তারাই বিপুল অংকের এ টাকা ফিলিপাইনে নিয়ে এসেছেন।’
সিনেটর অ্যাকুইনো বলেন, ‘চুরির টাকা ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ এই নয় যে, চলমান তদন্ত থেকে তারা বা তাদের প্রতিষ্ঠান ছাড় পাবে না।’
সিনেট কমিটির অপর সদস্য রালফ রেকটো বলেছেন, ‘জুয়াড়িদের কাছে স্থানীয় মুদ্রায় রুপান্তর করে চুরির এ টাকা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বপালনকারি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারি প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের পালা এবার। বিলি বন্টনের পর যে টাকা তাদের প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্টে রয়েছে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে এ কারণে যে, ফেরত পাওয়া সমুদয় অর্থ বুঝিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশকে।’
সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান তিওফিসতো গুইনগোনা বলেছেন, কিম অং ফেরত দেয়া ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নয় আরো বেশি অর্থ উদ্ধার করে তা বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। ফিলিপাইনের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর বিদেশিদের আস্থা ফেরাতেও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির এ টাকা উদ্ধার জরুরি বলে মন্তব্য করেন সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান।