বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে পাটেরও ভূমিকা ছিল। আমাদের সোনালী আঁশ রফতানি করে সেই বৈদেশিক অর্থ দিয়ে এক সময় পাকিস্তানের উন্নয়ন হত। বঙ্গবন্ধু শোষণের বিষয়টি বাংলার মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ কারণে স্বাধীনতা সংগ্রাম আরও বেগবান হয়েছিল।
মঙ্গলবার (৫ জুন) সকালে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নেতৃত্বে র্যালিতে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মো. নাসিমসহ পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাটের মান আরও উন্নত করতে কৃষক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। সোনালী আঁশের সঙ্গে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িত। পরিবেশবান্ধব ফসল হিসেবে পাটের গুরুত্ব বিবেচনায় পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রতিবছর ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ( ৬ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করবেন। এ মেলার মাধ্যমে পাটকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ জাতীর পিতার সোনার বাংলা, ২০৭১ সালে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ, ২১০০ সালে ডেল্টা প্ল্যান (নিরাপদ ব-দ্বীপ) ঘোষণা করা হয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সার্বিক পাটখাত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে -পাট থেকে অমিত সম্ভাবনাময় ভিসকস, চারকোল, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, পাট পাতার পানীয় উৎপাদন, নদীর পাড় সংরক্ষণ ও ভাঙনরোধে পরিবেশবান্ধব জুট, জিও-টেক্সটাইল, পলিথিনের বিকল্প ‘সোনালি ব্যাগ’ উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত করেছে।