রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > দেশের প্রথম বিমান রেস্টুরেন্ট! প্লেনে বসে খাবার খেতে যেতে হবে পতেঙ্গায়

দেশের প্রথম বিমান রেস্টুরেন্ট! প্লেনে বসে খাবার খেতে যেতে হবে পতেঙ্গায়

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলে-স্থলে এমনকি গুহায়ও আছে অদ্ভুত সব রেস্টুরেন্ট। এবার বাংলাদেশে হতে যাচ্ছে এমনই এক রেস্টুরেন্ট। খাবারের সঙ্গে বিনোদনকে বৈচিত্র্যময় করতে এবার আস্ত একটি বিমানকে রেস্টুরেন্ট বানানো হচ্ছে। এর জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ একটি বিমান কিনে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসানো হয়েছে।

দেশের প্রথম বিমান রেস্টুরেন্টের পরিকল্পনা দুই বন্ধুর। তাঁদের একজন মনজুর আলম জানালেন, গরিব মানুষকে খাবারের সঙ্গে বাড়তি বিনোদন যোগাতেই এ আয়োজন।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেসরকারি বিমান সংস্থা ভয়েজার এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফটটি অকেজো অবস্থায় বিমানবন্দরে তিন বছর ধরে পড়েছিল। ভয়েজার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দুই যুবক বিমানটি কিনেছেন। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমাণ্ডার নুরে ই আলম বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়ায় বিমানটি তিন বছর পড়েছিল। সচল কিংবা অচল হোক ওই বিমানটির জন্য দৈনিক ৩২৫ টাকা হারে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে ভয়েজার এয়ারলাইন্সকে।

জানা যায়, সত্তরের দশকের তৈরি বিমানটি ২০০৫ সালে এটি ভয়েজার এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করেছে। তখন থেকে সেটি পড়েছিল শাহ আমানত বিমানবন্দরে। তবে এটির মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে ফেলা হয়েছে। শুধু পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল খোলসটি।

ভয়েজার এয়ারলাইন্স’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এবং চট্টগ্রামের ইনচার্জ মোরশেদুল আলম মেয়াদোত্তীর্ণ বিমানটি দুই যুবকের কাছে বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরমধ্যে মনজুর নামে এক যুবকের নাম বললেও সেটি কত দামে বিক্রি করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে মোরশেদুল আলম বলেন, এয়ারক্রাফটি সরিয়ে নিতে গত ১৫ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তিন বছরে প্রায় চার লাখ টাকা ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে।

এক লাখ টাকা ক্রেন ভাড়া দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি পরিত্যক্ত বিমানটি শাহ আমানত থেকে পতেঙ্গা বিচ এলাকায় নেয়া হয়। বিমানবন্দরে দিকে যেতে সড়কের বাম পাশে বিশাল খালি জায়গায় বসানো হয়েছে এটি। সেখানে প্রতিদিনই উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।

বিমানটির অন্যতম ক্রেতা মনজুর আলম বলেন, ‘আমরা দুই বন্ধু মিলে বিমানটি কিনেছি। বিমান তো নয়। আসলে সেটি বিমানের খোলস। রেস্টুরেন্ট বানাতে এটি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসানো হয়েছে। গরিব মানুষ তো টাকা দিয়ে বিমানে চড়তে পারে না। তাই খাবারের সঙ্গে বাড়তি বিনোদন যোগাতে আমাদের এ আয়োজন।’

তবে কত টাকা দিয়ে বিমানটি কেনা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে ওই বিমানের ভেতর পরিচালিত হবে রেস্টুরেন্ট। এটিকে সাজানো হচ্ছে ভিন্ন রূপে। এতে থাকবে ভ্রমণপিপাসু ক্রেতার প্রত্যাশিত সব ধরনের খাবার। বাংলাদেশে এটাই হবে প্রথম বিমানে রেস্টুরেন্ট। সরবরাহ করা করা হবে বিমান পরিবহন মেন্যুর সঙ্গে সঙ্গতি থাকা সুস্বাদু খাবার।

সূত্র: সুপ্রভাত বাংলাদেশ

ডেস্ক/এসকে

– ঝবব সড়ৎব ধঃ: যঃঃঢ়://হবংি.রঢ়ড়ৎঃনফ.পড়স/অঃঃৎধপঃৎরাব-ঘবংি/২০১৪-০২-২৫-১০-১৬-০৪-৫২-৩৩১৫৮#ংঃযধংয.৯ঘঅৎফ৫২ঃ.৫ঔইইঈরঈপ.ফঢ়ঁভ

ঢাকা : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলে-স্থলে এমনকি গুহায়ও আছে অদ্ভুত সব রেস্টুরেন্ট। এবার বাংলাদেশে হতে যাচ্ছে এমনই এক রেস্টুরেন্ট। খাবারের সঙ্গে বিনোদনকে বৈচিত্র্যময় করতে এবার আস্ত একটি বিমানকে রেস্টুরেন্ট বানানো হচ্ছে। এর জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ একটি বিমান কিনে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসানো হয়েছে।

দেশের প্রথম বিমান রেস্টুরেন্টের পরিকল্পনা দুই বন্ধুর। তাঁদের একজন মনজুর আলম জানালেন, গরিব মানুষকে খাবারের সঙ্গে বাড়তি বিনোদন যোগাতেই এ আয়োজন।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেসরকারি বিমান সংস্থা ভয়েজার এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফটটি অকেজো অবস্থায় বিমানবন্দরে তিন বছর ধরে পড়েছিল। ভয়েজার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দুই যুবক বিমানটি কিনেছেন। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমাণ্ডার নুরে ই আলম বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়ায় বিমানটি তিন বছর পড়েছিল। সচল কিংবা অচল হোক ওই বিমানটির জন্য দৈনিক ৩২৫ টাকা হারে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে ভয়েজার এয়ারলাইন্সকে।

জানা যায়, সত্তরের দশকের তৈরি বিমানটি ২০০৫ সালে এটি ভয়েজার এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করেছে। তখন থেকে সেটি পড়েছিল শাহ আমানত বিমানবন্দরে। তবে এটির মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে ফেলা হয়েছে। শুধু পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল খোলসটি।

ভয়েজার এয়ারলাইন্স’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এবং চট্টগ্রামের ইনচার্জ মোরশেদুল আলম মেয়াদোত্তীর্ণ বিমানটি দুই যুবকের কাছে বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরমধ্যে মনজুর নামে এক যুবকের নাম বললেও সেটি কত দামে বিক্রি করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে মোরশেদুল আলম বলেন, এয়ারক্রাফটি সরিয়ে নিতে গত ১৫ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তিন বছরে প্রায় চার লাখ টাকা ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে।

এক লাখ টাকা ক্রেন ভাড়া দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি পরিত্যক্ত বিমানটি শাহ আমানত থেকে পতেঙ্গা বিচ এলাকায় নেয়া হয়। বিমানবন্দরে দিকে যেতে সড়কের বাম পাশে বিশাল খালি জায়গায় বসানো হয়েছে এটি। সেখানে প্রতিদিনই উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে।

বিমানটির অন্যতম ক্রেতা মনজুর আলম বলেন, ‘আমরা দুই বন্ধু মিলে বিমানটি কিনেছি। বিমান তো নয়। আসলে সেটি বিমানের খোলস। রেস্টুরেন্ট বানাতে এটি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বসানো হয়েছে। গরিব মানুষ তো টাকা দিয়ে বিমানে চড়তে পারে না। তাই খাবারের সঙ্গে বাড়তি বিনোদন যোগাতে আমাদের এ আয়োজন।’

তবে কত টাকা দিয়ে বিমানটি কেনা হয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে ওই বিমানের ভেতর পরিচালিত হবে রেস্টুরেন্ট। এটিকে সাজানো হচ্ছে ভিন্ন রূপে। এতে থাকবে ভ্রমণপিপাসু ক্রেতার প্রত্যাশিত সব ধরনের খাবার। বাংলাদেশে এটাই হবে প্রথম বিমানে রেস্টুরেন্ট। সরবরাহ করা করা হবে বিমান পরিবহন মেন্যুর সঙ্গে সঙ্গতি থাকা সুস্বাদু খাবার।