বৃহস্পতিবার , ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার হরতাল শুরু

দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার হরতাল শুরু

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের ডাকা দেশব্যাপী টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে।

রোববার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে এ হরতাল শুরু হয়। ঘোষণা অনুযায়ী যা চলবে বুধবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা পর্যন্ত।
শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই হরতাল ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি গত ৫ জানুয়ারি থেকে চলা টানা অবরোধও অব্যাহত রয়েছে।
কার্যত এ হরতালের মধ্য দিয়ে সোমবার (০২ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনুষ্ঠেয় দেশের প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর এসএসসি (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় বিঘ্ন সৃষ্টি হতে হচ্ছে।
তবে হরতাল-অবরোধের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) এ.কে.এম. শহীদুল হক।
হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। এছাড়াও রয়েছে বিজিবি সদস্যরাও।
এর আগে হরতালের ঘোষণাকালে বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় উড়িয়ে দেওয়া ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে গ্রেফতারের হুমকির প্রতিবাদে এ হরতাল ঘোষণা করা হলো।
হরতাল ঘোষণার কারণ হিসেব আরও বলা হয়, চলমান আন্দোলন দমনে পুলিশকে যেকোন পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে দায়িত্ব নেবেন বলে যে আতঙ্ক ও উদ্বেগজনক বক্তব্য রেখেছেন তার প্রতিবাদে, সরকারের মদদে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের বাসায় গুলি ও তরিকুল ইসলাম সাহেবের বাসায় বোমা নিক্ষেপ এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় বোমা নিক্ষেপের প্রতিবাদে হরতাল দিচ্ছে ২০ দল।
হরতালের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আরও বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমানকে হত্যা করার উদ্দেশে গুলি করে গুরুতর জখম করা ও তার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং আরেক উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে, অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে প্রায় ২১ জন নেতাকর্মীকে সরাসরি গুলি করে হত্যা এবং ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার প্রতিবাদে এ হরতাল হচ্ছে।
সারাদেশে পনের হাজারের অধিক বিএনপি ও জোটের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেড় লক্ষাধিক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে, সারাদেশে বিএনপি ও জোটের নেতাকর্মীদের বাড়ীতে যৌথবাহিনীর আক্রমণ এবং কাঙ্খিত ব্যক্তিকে না পেয়ে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বাড়ির নিরীহ লোকজনকে আটক ও বাড়িঘরের জিনিসপত্র লুটপাটের প্রতিবাদে এবং সরকারি এজেন্ট দিয়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে নাশকতা সৃষ্টি করার পর এর দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপানোর প্রতিবাদে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ হরতাল হবে।
বিবৃতিতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফুর্তভাবে ৭২ ঘণ্টার হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয়।