স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে নতুন পর্যটন গন্তব্য গড়তে সরকার কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুদ্ধিষ্ট পর্যটন সার্কিট উন্নয়ন বিষয়ক দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পর্যটন বর্ষ ২০১৬-এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ, অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনার এক দেশ। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়। বিশ্ব মানচিত্রে একটি নতুন পর্যটন গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের উপদানই রয়েছে।
তিনি বলেন, এদেশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃষ্টি, সভ্যতা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের অতিথিপরায়ণতা বিশ্বের যেকোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করে। আমার কাছে গোটা দেশই যেন এক বিশাল পর্যটন ভূমি। ষড়ঋতুর সম্ভারে নানারকম বৈচিত্র্য, সমতল ভূমি, হাওর-বাওড়, পাহাড়, টিলা আর ছায়া সুনিবিড় গ্রামগুলি নান্দনিক উৎকর্ষে যে কারো হৃদয় কাড়ে। বাংলাদেশের এই বৈচিত্র্যময় পর্যটন আকর্ষণে আদিকাল থেকেই ইবনে বতুতার মতো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের আগমন ঘটেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে পর্যটনকে ঘিরে আমাদের অর্থনীতি যে বিকশিত হতে পারে তা প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গঠন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় ‘বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ পর্যটন সংস্থার মহাসচিব মি. তালিব রিফাই, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।