আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) সঙ্গে জোট করেই শেষপর্যন্ত হরিয়ানায় সরকার গঠন করবে বিজেপি। অনেক নাটকীয়তা শেষে দলটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের একদিন পর শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা করেন।
অমিত শাহ বলেছেন, ‘জনগণের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিজেপি এবং জেজেপির নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে দুটি দল মিলেই হরিয়ানায় সরকার গঠন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির সদস্য এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন জেজেপি থেকে।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিজেপি দলীয় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর এবং জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌতালার উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা দেন অমিত শাহ।
হরিয়ানার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন প্রয়োজনীয় আসনে জয় পায়নি। সরকার গঠনে ছয় বিধায়কের প্রয়োজন ছিল এই দলটির। আটজন নির্দল বিধায়কের দিকেই নজর ছিল তাদের। এদের মধ্যেই ছিলেন বিতর্কিত গোপাল কান্দা।
তবে গোপাল কান্দাকে নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয় বিজেপি। গোপালের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাযক্রমের তথ্যপ্রমাণ রয়েছে এবং ২০১২ সালে তারই বিমান সংস্থায় কাজ করা এক বিমানবালা আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনেছিলেন গোপালের বিরুদ্ধে।
হরিয়ানার ৯০টি আসনের মধ্যে এবার ৭৫টি আসনে জেতার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামে মনোহরলাল খট্টরের রাজ্যে বিজেপি। কিন্তু বিজেপি পায় ৪০টি আসন। এদিকে কংগ্রেসে ৩১টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন।
সরকার গঠনের জন্য জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) দুষ্মন্ত চৌতালার দ্বারস্ত হয় কংগ্রেস। এদিকে বিজেপিও চৌতালার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। তাই হরিয়ানের নির্বাচনে বিজেপি কংগ্রেসের চেয়ে প্রধান হয়ে ওঠে চৌতালার জেজেপি। অবশেষে বিজেপিতে ভিড়ে সরকার গঠন করলো দলটি।