শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কিটের প্রতি আমাদের আস্থা আছে : ড. বিজন

দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কিটের প্রতি আমাদের আস্থা আছে : ড. বিজন

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিট কার্যকর নয় বলে এর কার্যকারিতা যাচাই শেষে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বলছে, দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তাদের কিটের প্রতি তাদের আস্থা আছে।

বুধবার (১৭ জুন) দুপুর বিএসএমএমইউর প্রতিবেদন পাওয়ার পরও নিজেদের কিটের প্রতি আস্থা থাকার বিষয়ে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র‌্যাপিড ডট ব্লট কিটের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদন সম্পর্কে এখনও কিছু জানি না, আমাদেরকে জানানো হয়নি। প্রতিবেদনটা পাওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারব। রিপোর্ট পাওয়ার পর তা বিশ্লেষণ করে দেখবো, কার্যকর নয় কেন? সেটা কোন আঙ্গিকে তারা বলল। সেটা দেখার পর আমরা ব্যবস্থা নেব। দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নাই। আমরা তো আমাদের কিটকে চিনি। আমাদের কিটের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা শনাক্তে রেপিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবনের পর ২৬ এপ্রিল তা হস্তান্তরের আয়োজন করে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান তা গ্রহণ করতে যায়নি। এই কিটের অনুমোদন দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের ওষুধ প্রশাসন। তখন তারা বলেছে, সিআরও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (মধ্যস্বত্বভোগী) কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার পর তা তারা অনুমোদন দেবেন। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তার বক্তব্য ছিল, কোনো মধ্যস্বত্বভোগী সিআরও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করবেন না। তিনি সরকারের বিএসএমএমইউসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করাতে চান। তবে ওষুধ প্রশাসন বলে আসছিল, সিআরও প্রতিষ্ঠান ছাড়া কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের সুযোগ নাই।

এরকম পরিপ্রেক্ষিতে নানা আলোচনা-সমালোচনার একপর্যায়ে ওষুধ প্রশাসন বিএসএমএমইউতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তাদের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমোদন দেয় ২৯ এপ্রিল। অনুমোদনের বেশকিছু দিন পর গণস্বাস্থ্য কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু হয় বিএসএমএমইউতে। এর মধ্যে গত ২ জুন যথাযথভাবে লালা সংগ্রহ সম্ভব না হওয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের দুটি অংশের- অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন্ট এর মধ্যে অ্যান্টিজেন্টের পরীক্ষা স্থগিত রাখতে বিএসএমএমইউকে চিঠি দেয় তারা। তবে লালা সংগ্রহের জন্য নতুন একটি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। দুই-একদিনের মধ্যে তা বিএসএমএমইউর কাছে জমা দেয়ার কথা রয়েছে গণস্বাস্থ্যের।

কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরুর প্রায় ১ মাস পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এন্টিবডি কিটের ফল প্রকাশ করল বিএসএমএমইউ।