শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > দুর্যোগ মোকাবেলায় মজুদ ৩১শ’ কোটি টাকা

দুর্যোগ মোকাবেলায় মজুদ ৩১শ’ কোটি টাকা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, অনাবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক ও মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য এখন রোল মডেল বাংলাদেশ। এদেশের রয়েছে দুর্যোগের প্রাথমিক ধাক্কা সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা। এখন দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনাটা চ্যালেঞ্জ।

দুর্যোগে ত্রাণ তৎপরতা ও বসতি স্থাপনের জন্য সরকারের হাতে মজুদ রয়েছে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্যোগের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির জন্য ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা দিতে পারে সরকার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টিআর এবং ভিজিএফের মাধ্যমে বরাদ্দ দিতে তাদের হাতে রয়েছে প্রায় দুই হাজার সাতশ’ কোটি টাকা। এ তহবিল থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে পৌঁছে যায় ত্রাণ সামগ্রী।

যেকেনো জরুরি পরিস্থিতিতে এর বাইরে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ ব্যবহার করতে পারবে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বড় বড় দুর্যোগে এই তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কামরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, যেকোনো দুর্যোগে ২৪ ঘণ্টায় প্রাথমিক ত্রাণ তৎপরতার জন্যই বাংলাদেশ রোল মডেল।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, দুর্যোগের পর বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের জন্য তিন হাজারের বেশি অর্থ মজুদ বরাদ্দ রয়েছে।

এর মধ্যে সাহায্য মঞ্জুরী গৃহ নির্মাণ বাবদ ১৬ কোটি টাকা, টিআর বাবাদ এক হাজার ২৯২ কোটি টাকা, জিআর বাবাদ ২৮৪ কোটি টাকা, কম্বল কেনার জন্য ২২ কোটি টাকা, বন্যার ক্ষয়ক্ষতির জন্য ৪০ কোটি টাকা, অনাবৃষ্টির জন্য ১২ কোটি টাকা, ঘূর্ণিঝড় পুর্নবাসন মঞ্জুরী ২২ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য রয়েছে ২২ কোটি টাকা।

এছাড়া ভিজিএফ এর জন্য এক হাজার ৪১৯ কোটি টাকা, ত্রাণ কাজে সেনা মোতায়েনের জন্য পাঁচ কোটি ৭২ লাখ টাকা, ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচির জন্য থোক বরাদ্দ রয়েছে আরও পাঁচ কোটি টাকা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে সক্ষম হয় না। অথচ বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।

এসব খাতের অর্থ সেভ আওয়ার সোল (এসওএস) ফর্মের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ও ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে এক সপ্তাহের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে তাকে বলে জানান যুগ্ম-সচিব কামরুল হাসান।

কামরুল হাসান বলেন, এসওএস ফর্মের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে ত্রাণ দিতে হয়।

আর জেলা প্রশাসকগণ বিভিন্ন খাতের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে বিবরণ পাঠালে ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাইরে অন্য মন্ত্রণালয়গুলোকেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়ে থাকে।

সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের সময় ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এসব খাত থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

দরযোগ জনিত ইমার্জেন্সি মিটআপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওই তহবিল ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা দুর্ঘটনা ঘটলে ১০০ কোটি টাকার তহবিল ব্যবহার হয়।

যেকোনো দুর্যোগে আমাদের প্রাথমিক ধাক্কা সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে যুগ্ম-সচিব কামরুল হাসান বলেন, দুর্যোগ হলে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম থাকে এখন এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।

এজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের মতো প্রকল্প ছাড়াও আয় বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করলে তা সম্ভব। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম