শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > দুর্নীতি হলে উন্নতি হতো না : প্রধানমন্ত্রী

দুর্নীতি হলে উন্নতি হতো না : প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি থাকলে বাংলাদেশের উন্নতি হতো না। সরকারের সকল বিভাগ সঠিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক এসে প্রতি বছরের মতো এবছরও আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে যেসব ফোরাম ও দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, তাতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হয়েছে সেগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ ভাগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শেখ হাসিনা। তিনি এতে ২০০১ সাল থেকে বিএনপি জামায়াত জোটের সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
বিএনপি’র সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দলটি এখন বিরোধী দলেও নেই। তাদের সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই ওঠে না।
কেউ যদি রাজনীতিতে ভুল সিদ্ধান্ত নেয় তার খেসারত তাকে দিতেই হবে। বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ না নেওয়া রাজনৈতিক ভুল বলে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী।
দুর্নীতি বিষয়ক একটি প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে দুর্নীতি হলে উন্নতি হতো না। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি এমন চ্যালেঞ্জ আগেই দিয়েছিলাম। এখন প্রমাণিত হয়েছে এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি ছিলো না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে ১১,৭৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, দুর্নীতি হলে তা সম্ভব হতো না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকার চালাতে এসেছি, ব্যবসা করতে আসি নি। আমরা ব্যবসায়ীদের সহযোগিত করছি বলেই দেশ এগিয়ে যেতে পারছে।
শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে কি নিয়ে আলোচনা হতে পারে এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুভেচ্ছা বিনিময় হবে।
তবে তিনি এও উল্লেখ করেন, তার সরকারের আমলেই ভারতের সঙ্গে সীমান্তে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানের সুযোগ হয়েছে। এমনকি ভারত থেকে ফেনীর ৪৫ একর জমিও তার সরকারই দেশে ফিরিয়ে এনেছে।
এ প্রসঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টনের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পানি কেউ আটকে রাখতে পারবে না, দিতেই হবে।
অপর এক প্রশ্নে মধ্যমর্তী নির্বাচনের কথা নাকচ করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন ভালো আছে, একটি নির্বাচন হয়েছে আবার সময়মতো নির্বাচন হবে।
জামায়াতের রাজনীতি বন্ধ করার প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। এতে তিনি জামায়াতকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জিয়াউর রহমানের সরকারকে দায়ী করেন।
এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনেরমূল বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেকের কাছেই রোল মডেল হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের যেখানে যেই ফোরামেই তিনি কথা বলেছেন প্রশংসা পেয়েছেন। সবারই মুখে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার কথা শোনা যায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার যে সোনার বাংলার স্বপ্ন ছিলো, সেই স্বপ্ন আজ আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছেও স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রবাসী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশাকরি এ কথা শুনে আপনাদেরও ভালো লাগে।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে তার প্রথম বাংলা ভাষণেই জানিয়েছিলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুতা, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’। একই নীতি সামনে রেখে এবছরও বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়েছে।
প্রায় এক ঘণ্টার এই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও অগ্রগতির চিত্রও তুলে ধরেন। বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে, বাংলাদেশ এখন ক্রম অগ্ররসমান একটি দেশ।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আরও উঠে আসে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে ধরে রাখার কথা, দেশে ৫ কোটি মানুষকে নি¤œবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত করা, তিন কোটি ৬৮ লাখ মেট্রিক টন দানাদার খাদ্য উৎপাদন করার, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, দারিদ্রের হার ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি, আইন-শৃঙ্ঘলা ব্যবস্থার উন্নতি ইত্যাদি নানা খাতে সরকারের অর্জন গুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শিক্ষার ওপর তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাই দারিদ্র থেকে দেশকে মুক্তি দেবে। আর সে লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নে বিনামূল্যে বই বিতরণ, অবৈতনিক শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষাসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পরীক্ষায় পাশের হার ৯৮ শতাংশে উন্নীত করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে এরই মধ্যে তার সরকার ১ লাখ ৩৩ হাজার নারী শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরিতে তাদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে স্কুলগুলোতে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সমুদ্র জয়ের পর এখন সমুদ্রের সম্পদ আহোরনের জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সরকার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে আরও এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে একটি সুন্দর জীবন দান ও জীবনকে অর্থবহ করাই তার সরকারের লক্ষ্য।
– ঝবব সড়ৎব ধঃ: যঃঃঢ়://িি.িনধহমষধহবংি২৪.পড়স/নবঃধ/ভঁষষহবংি/নহ/৩২৭৬৯৯.যঃসষ#ংঃযধংয.১ঊশলঠঞডর.ফঢ়ঁভ