শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > ‘দুদক এখন দুর্নীতিবাজদের কাছে ভীতিকর প্রতিষ্ঠান’

‘দুদক এখন দুর্নীতিবাজদের কাছে ভীতিকর প্রতিষ্ঠান’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও জাতীয় প্রবৃদ্ধির বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য দুর্নীতি দমন করতে হবে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হচ্ছে। বর্তমানে দুদকের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কার্যক্রম সবস্তরে বিকশিত হচ্ছে। দুদক দুর্নীতি প্রতিরোধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করছে।

তিনি বলেন, দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবপ্রকার হস্তক্ষেপের ঊর্ধ্বে থেকে সম্পূর্ণ নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করছে। দুদক এখন দুর্নীতিবাজদের কাছে ভীতিকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুদকের ১১২তম গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে বক্তব্য দেন ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন প্রমুখ।

ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য জনগণের সরকারি সেবাপ্রাপ্তির সব প্রতিবন্ধকতা দূর করা। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের কল্যাণমূলক কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির একটি অন্যতম কৌশল হচ্ছে গণশুনানি। একে সরকারি সেবাপ্রত্যাশী জনগণ এবং সেবা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংযোগের একটি প্রক্রিয়াও বলা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে হয়রানি করার অধিকার কারও নেই। কেউ সেবা প্রদানে ঘুষ দাবি করলে, দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এ অভিযোগ জানাবেন। তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারসহ সব প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতি করে কেউ পাড় পাবেন না।

গণশুনানিতে ভূমি, পল্লীবিদ্যুৎ, বিআরটিএসহ অন্যান্য দফতর সম্পর্কে মোট ২৭টি অভিযোগ দেন স্থানীয় সেবাপ্রত্যাশী নাগরিকরা। এর মধ্যে ১০ টি অভিযোগ দুদক কমিশনারের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। পল্লীবিদুৎ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার।