শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > দুজনের সম্পর্কের অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়বে যে লক্ষণে

দুজনের সম্পর্কের অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়বে যে লক্ষণে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সম্পর্কের শুরুতে নারী-পুরুষের প্রত্যেকের কাছেই অপরকে নিজের মনের মতো বলেই মনে হয়। তাই তাদের প্রেমঘটিত সম্পর্কে কোনো অসঙ্গতি বা অসামঞ্জস্য থাকলে সহসা চোখে ধরা পড়ে না। দুজনের মধ্যে খুব বড় কিছু না ঘটলে সব কিছু ঠিক রয়েছে বলেই মনে হয়। এসব বৈসাদৃশ্য হয়তো একেবার শেষ সময়ে গিয়ে বড় আঘাত হয়ে দেখা দেয়। তাই আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে ৭টি লক্ষণ দেওয়া হলো যাতে বুঝবেন, দুজনের সম্পর্কে সামঞ্জস্য নেই।

১. বিশ্বাসের অভাব

সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হয়ে দেখা দিবে পারস্পরিক অবিশ্বাস। যেকোনো ঘটনায় অপরজনকে বিশ্বাস করতে না পারলে বুঝতে হবে, ভবিষ্যতে আপনারা কখনো একে অপরের হতে পারবেন না। এ সম্পর্কের কোনো ভিত্তি তৈরি হয়নি। অর্থাৎ, আপানাদের দুজনের মধ্যে আসলে কোনো সম্পর্কই তৈরি হয়নি।

২. পুরোটাই যৌনতা কেন্দ্রিক

দুজনের মধ্যে যদি যৌনতার আকাঙ্খা বেশি থাকে এবং এটিই সম্পর্কের মাধ্যম হয়ে যায়, তবে অন্য বিষয়ের চর্চা বলতে নেই। এটা অবশ্য একের প্রতি অপরের যৌন আকাঙ্খার ওপর নির্ভর করে। এতে প্রথম দিকে দুজনের কাছেই সব কিছু উপভোগ্য হলেও ভবিষ্যতে তা বিরক্তিকর হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে দুজনের প্রতি দুজনের যৌনতা ছাড়া আর কিছুই চাওয়ার নেই বলেই মনে হয়।

৩. হিংসা

এই বদ গুণটি আমাদের জীবনটাকে ব্যাপকভাবে সুখহীন করে তোলে। এটি হঠাৎ করেই কোনো বিষয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে এটি বেশি কাজ করে এবং এ ক্ষেত্রে তারা মুখ খোলে না। আবার ছেলেদের মধ্যে কাজ করলেও তা ধীরে ধীরে সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। এর দ্বারা সম্পর্কে ভীতি তৈরি হয় দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে পথে তা কাঁটা হয়ে দেখা দেয়।

৪. তর্কবিতর্ক

কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হওয়াটা ভালো। তবে সব বিষয় নিয়েই ক্রমাগত তর্ক ভালো নয়। এটা মতের অমিলের সবচেয়ে শক্ত উদাহরণ। নিজের মতামত নিয়ে তর্ক সহজাত ব্যাপার। এতে ভালো উপায় বের হয়। তবে স্রেফ অন্যের মত না মানার মানসিকতা নিয়ে তর্ক করাটা সমস্যার নামান্তর।

৫. জীবনের লক্ষ্য নিয়ে টানাপড়েন

সবারই ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য থাকে। কারো লক্ষ্য যদি থাকে শুধুমাত্র ডেটিং দিয়ে সময় কাটানো, তবে অন্যজনের তা নাও হতে পারে। আবার কারো উদ্দেশ্য যদি থাকে সম্পর্কটাকে আজীবনের জন্য করে নেওয়া, তবে তা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে দুজনের মানসিকতা পরিষ্কার থাকলে ভবিষ্যত ঝামেলামুক্ত হবে।

৬. গোপনীয়তা

এই বিষয়টি নানা রূপে উঠে আসতে পারে। যৌনতা, আবেগময়, কিছু মিথ্যা যেকোনোভাবেই গোপন বিষয়গুলো সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। একের প্রতি অপরজন সৎ না থাকলে সে সম্পর্কের কোনো সুন্দর পরিণতি নেই। ব্যক্তিগত অতীত জীবনের কিছু গোপনীয়তা থাকতে পারে যা একেবারে নিজস্ব সম্পত্তি বলে আপনি দাবি করতে পারেন। কিন্তু সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে কফি খেয়ে এসে বর্তমান সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কাছে তা গোপন রাখছেন, এমন হলে বুঝতে হবে আপনি তার প্রতি সৎ নন।

৭. যোগাযোগের অভাব

সম্পর্কের মধ্যে ঝামেলা থাকার বড় একটি লক্ষণ নিয়মিত যোগাযোগ না রাখা। সম্পর্কে সফলতার জন্য দুজনই দুজনের প্রতি যোগাযোগ রাখতে অস্থিরতা অনুভব করবেন। কিন্তু যোগাযোগ রাখার ঘাটতি থাকলে নিজেকেই অনুভব করতে হবে যে, ভালোবাসায় খাদ রয়েছে। সম্পর্কের সুস্থ্যতা নির্ভর করে নিয়মিত যোগাযোগের ওপর। দুজনের মধ্যে উভয় পক্ষ থেকে অথবা যেকোনো এক পক্ষ থেকে যোগাযোগের তাগিদ দেখা গেলে সেখানে সমস্যা হতে বাধ্য।