শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > দুই অধ্যক্ষ বনাম এক দুলাল

দুই অধ্যক্ষ বনাম এক দুলাল

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে লালমনিরহাট ১, ২ ও ৩ (সংসদীয় আসন ১৬, ১৭ ও ১৮)-এ শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী থাকলেও বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে একক প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন। ১ নম্বর আসনে জাসদ ছাড়া অন্য দলের কারও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। দলীয় টিকিট পেতে কেউ কেউ ঢাকায় তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

এলাকায় ইফতার পার্টির সুযোগে নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। নিজের নামে অনেকেই শুভেচ্ছা পোস্টারও সাঁটিয়েছেন। নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়েছে নিজ নিজ সংসদীয় খুলি বৈঠকও। ঈদ সামনে রেখেও প্রার্থীরা জনগণের কাছে যাওয়ার সব ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সদর আসনে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। তার বিপরীতে লড়তে প্রস্তুত বর্তমান আওয়ামী লীগের এমপি ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ মো. সাঈদ (দুলাল)। অন্যদিকে এই আসনে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম মিঠুও নির্বাচনের অংশ নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। কার্যত বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দুই অধ্যক্ষের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকতে পারেন নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু সাঈদ দুলাল। লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনে বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনের পাশাপাশি পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলের নামও আলোচিত হচ্ছে। তবে পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় মোতাহার হোসেনের পাল্লাই ভারী। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যা”েছ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধানের। মনোনয়ন দৌড়ে তিনি অনেকটাই এগিয়ে। তবে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়া সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীনের নামও শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর খালিদ হোসেন (অব.)। লালমনিরহাট-২ (কালিগঞ্জ-আদিতমারী) আসনে বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুজ্জামান আহম্মেদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী তা অনেকটাই নিশ্চিত। দলের এককপ্রার্থী হিসেবেই তার নাম আলোচনায় রয়েছে। এ আসনে তার বিপরীতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুরও নাম নেতা-কর্মীর মুখে মুখে। বাধ্যবাধকতা না থাকলে দুলু এ আসনেও প্রার্থী হবেন এটা অনেকটা নিশ্চিত করে বলা যায়। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রোকন উদ্দিন বাবুলের প্রার্থিতা অনেকটাই নিশ্চিত। লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ মো. সাঈদ (দুলাল) এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোট থেকে মশাল প্রতীক নিয়ে ভোট করে হেরে যান জেলা জাসদ (ইনু) সভাপতি এম খোরশেদ আলম। তবে আগামী নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে জেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলাল এমপির নাম। নেতা-কর্মীরা যেসব আলোচনা করছেন তাতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের নামও শোনা যায়। আওয়ামী লীগের বিপরীতে এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী দলের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। সদর আসনে তিনি দলের একক প্রার্থী। তিনি এরই মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনের কাজসহ দুর্নীতিবিরোধী সাইকেল র‌্যালি করে নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম মিঠুও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর মশাল প্রতীক নিয়ে এবারও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলা জাসদ সভাপতি এম খোরশেদ আলম। বাংলাদেশ প্রতিদিন