আখাউড়া প্রতিনিধি ॥
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা প্রকল্পের দ্বিতীয় ইফনিট থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ১০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিদ্যুতের দামসহ যাবতীয় নিয়ম পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে দিল্লিতে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বৈঠক চলছে। ২৬অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠকের আজ ২৮ অক্টোবর বুধবার শেষ দিনে বিদ্যুতের দামসহ আনুষঙ্গিক সমস্ত বিষয় চূড়ান্ত হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
ত্রিপুরারাজ্যের পালাটানা থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন চলছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পরিবাহী লাইন নির্মাণের কাজ। ভারত সরকারের সংস্থা পিজিসিআইএল এই কাজ করছে। রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের সূর্যমণিনগর বিদ্যুৎ ষ্টেশন থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ কুমিল্লা বিদ্যুৎ স্টেশন পর্যন্ত হবে এই পরিবাহী লাইন। নির্মাণ সংস্থা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিবাহী লাইন নিমাণের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। জানুয়ারিতে শুরু হবে কমিশনিং। পালাটানা প্রজেক্টের দ্বিতীয় ইউনিটে উৎপাদিত বিদ্যুতের ত্রিপুরার শেয়ার থেকেই বাংলাদেশকে ১’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে ভারত সরকার। জানাযায়, ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পালাটানার তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছিল।ওই বছরই ২১ জুন এই ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মূখার্জী। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, একটি রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতিকে আসতে হয় না। আমি শুধু এসেছি পাশ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য। বাংলাদেশ যদি তাদের ভূখন্ড (নৌপথ ও সড়ক পথ) ব্যবহার করার সুযোগ না দিত তাহলে পালাটানার এই প্রকল্প করা সম্ভব ছিল না। তখন তিনি এ পালাটানার দ্বিতীয় ইউনিট আনুষ্ঠানিক উৎপাদন শুরু করলে বাংলাদেশকে ১’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
খবর নিয়ে আরও জানাগেছে, ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর পালাটানার দ্বিতীয় ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিও তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের চাওয়ার কোন অপূর্ণতা থাকবেনা। পালাটানার দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরু করলে বাংলাদেশ এ প্রকল্প থেকে ১’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে। পরে বিদ্যুতের মেগাওয়াট আরও বৃদ্ধি করা হবে। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেছেন, বাংলাদেশের নৌবন্দর-স্থলবন্দর ও সড়কপথ ব্যবহার করে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারি যন্ত্রাংশ বোঝাই জন্য ১২০চাকার ট্রেইলর পরিবহনে যদি সুযোগ না দিত তাহলে এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করা সম্ভব হত না। বাংলাদেশের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।