শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > ‘দাবি দ্রুত আদায় না হলে মাঠে নামবে ছাত্রলীগ’

‘দাবি দ্রুত আদায় না হলে মাঠে নামবে ছাত্রলীগ’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেছেন, আপনারা দেখেছেন- আমাদের আপা (শেখ হাসিনা) সব সময় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দেন। শিক্ষার্থীরা ৯টি দাবি করেছিল শেখ হাসিনা ১১টি দাবি পূরণের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, এই দাবি যদি দ্রুত আদায় না হয় তাহলে আমরা মাঠে নেমে আন্দোলন করব। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করব দাবি আদায় ত্বরান্বিত করতে।

রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যুগান্তরের ফেসবুক পেজ লাইভে এসে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

সড়ক পরিবহন খাতে নৈরাজ্য, দুর্নীতি ও অরাজকতার কথা স্বীকার করে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসবের কারণে আমাদের মাঝেও ক্ষোভ ছিল। একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে কব্জা করেছিল এই পরিবহন খাত। পরিবহন শ্রমিকদের হাতে জিম্মি ছিল সাধারণ জনগণ। এমনকি আমরা নিজেরাও এর শিকার হয়েছি। আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের। এর ফলে ওই দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে এবং আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে এবং ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে।

গোলাম রাব্বানী বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের মুখোমুখির ঘটনা ঘটেনি। এটি ষড়যন্ত্র। ছাত্রলীগ কতিপয় মিডিয়া, কলম সন্ত্রাসের শিকার। শুরু থেকেই মিডিয়ার বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হয়ে আসছে ছাত্রলীগ।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই ছাত্রলীগ পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।

দাবি সমুহ:

১ .গাড়ি চালানোর সময় কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে আইনে।

২. খসড়া আইন অনুযায়ী, সড়কের ফুটপাতের উপর দিয়ে কোনো ধরনের মোটরযান চালাচল করতে পারবে না। যদি করে, তবে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

৩. আগে গাড়ি চালকদের লেখাপড়ার বিষয়ে কিছু না থাকলেও নতুন আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।

৪. কন্ডাক্টর বা চালকের সহযোগীকে কমপক্ষে লেখা ও পড়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তার লেখাপড়া থাকতে হবে।

৫. যদি কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায়, তবে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ এই অপরাধ করলে, তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে ৩ মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

৬. চালকের সহকারীর লাইসেন্স লাগবে। কন্ডাক্টারের লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে।

৭. জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করলে আগে শাস্তি ছিল সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা। প্রস্তাবিত আইনে মূল শাস্তি কারাদণ্ড আগের মতোই আছে, জরিমানা ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।

৮.ফিটনেস না থাকা মোটরযান চালালে আগে শাস্তি সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা রয়েছে। সেখানে এখন শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা। এ শাস্তি পাবে মূলত গাড়ির মালিক।

৯. দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধিতে যে শাস্তি রয়েছে, সেই শাস্তি প্রযোজ্য হবে। দুর্ঘটনার মাধ্যমে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নরহত্যা হয়, তবে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা প্রযোজ্য হবে। শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। হত্যা না হলে, ক্ষেত্রে ৩০৪ ধারা প্রযোজ্য হবে। সেক্ষেত্রে শাস্তি যাবজ্জীবন। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা হলে ৩০৪ এর (বি) অনুযায়ী ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

১০. গাড়ি ওজন সীমা অতিক্রম করলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৩ লাখ টাকা জরিমানা। এখানে মালিক ও ড্রাইভার দুই গ্রুপকেই যুক্ত করা হয়েছে, তারা দায়ী হবে।

১১.বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুই গাড়িতে পাল্লা দেয়ার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং এতে দুর্ঘটনা না ঘটলেও ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।