শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > দমানুষ পুড়িয়ে মারা কোন রাজনীতি

দমানুষ পুড়িয়ে মারা কোন রাজনীতি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা কোন রাজনীতি? তিনি বলেন, মানুষ হত্যার বিচার হবেই।

বুধবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। জনগণের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নতিই সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজটিই করবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ভীত হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট নাশকতামূলক কর্মকান্ড এবং অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কোনো সমর্থন না পেয়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) আরও নাশকতামূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তারা বিবেকবর্জিতভাবে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, কোথাও যাত্রীবাহী গাড়িতে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগুন দিয়ে নারী, শিশুসহ নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করছে। সম্প্রতি একজন গর্ভবতী মহিলা তাদের নাশকতার শিকার হয়েছেন, তার শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে এবং গর্ভের শিশুটি মারা গেছে। তাদের এমন পৈশাচিক হত্যাকান্ড ১৯৭১ সালের পাক সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে।
‘এটা কোন রাজনীতি?’ প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এরকম কাজে যারা লিপ্ত তারা কী মানুষ? জনগণের জানমাল রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব সরকারের। এজন্য পুলিশ, বিজিবি, আনসার বাহিনী নিয়োগ করে সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনের চেষ্টা চলছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীদের যেখানে পাবেন ধরে পুলিশে সোপর্দ করুন। আপনারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নাশকতার পূর্ব তথ্য সরবরাহ করে জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করুন। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সর্বদা তৎপর রয়েছে।
সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩ সালে সহিংস তান্ডব চালিয়ে নৃশংসভাবে বহু মানুষ হত্যা করেছে, পুলিশ মেরেছে এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সে সময় সাতক্ষীরা জেলাতেও জামাত-শিবির ও বিএনপির তান্ডবে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৬জন নিহত এবং ৫৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের সরকারিভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের ও আহতদের মধ্যে ৮৩জনকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষি বান্ধব সরকার। দেশের কৃষি উন্নয়নে সমন্বিত ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। বিদেশে বিশেষ করে শ্রীলংকায় চাল রফতানি করা হচ্ছে। আগামীতে আরো বেশি কৃষিপণ্য রফতানি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি রয়েছে সরকারের। দেশজ মোট উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত শংতাশে উন্নীত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম