শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > দক্ষিণ এশিয়ায় বিপজ্জনক হারে বাড়ছে বৈষম্য

দক্ষিণ এশিয়ায় বিপজ্জনক হারে বাড়ছে বৈষম্য

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিপজ্জনক হারে বেড়েছে বৈষম্য। এর মধ্যে লিঙ্গভিওিক মজুরি পার্থক্য ও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য অন্যতম।

এ তথ্য তুলে উঠে এসেছে সাউথ এশিয়া অ্যালায়েন্স ফর পভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপে) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স্যাপের প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক মুসতাক আলী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় সন্তানের মা হয়েছেন এমন নারীরা পুরুষদের চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম মজুরি পান। এ ছাড়া সন্তানের মা নন এমন নারীরা পুরুষদের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম মজুরি পেয়ে থাকেন। স্বল্পসংখ্যক ক্ষমতাবানের হাতে সম্পদ ও ক্ষমতা থাকায় এ ধরনের বৈষম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজারেও নারীদের অংশগ্রহণের হার ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশে কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই শতকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের হার নাটকীয়ভাবে ৯৪ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে চিত্র কিছুটা ভিন্ন। ইউএনডিপি এবং অক্সফোর্ড মানব উন্নয়ন উদ্যোগের বিশ্বব্যাপী বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সূচক ২০১৮ অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়া বর্তমানে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত। গত দুই শতকে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের হার নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেলেও ১৯৯০-২০১৩ সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অংশ ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যকার ব্যবধান কমানোর জন্য সরকারকে আরও কার্যকারি ভূমিকা পালন করার আহ্বান জনানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট আর্থনীতিবিদ প্রফেসর এম এ আকাশ বলেন, ধনীদের আরও ধনী হওয়া এবং তাদের উন্নয়নের বলি হচ্ছেন গরিবরা। তাদের এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হলে শিক্ষার আলোয় তাদের আলোকিত হতে হবে। ধনীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা কর দিচ্ছেন, আবার ঋণখেলাপিও হচ্ছেন। এমনকি সরকারও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।