স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোবাইল ফোনের থ্রিজি তরঙ্গের নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে অপারেটরদের কাছ থেকে লিখিত প্রশ্ন চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এ জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ৩১শে জুলাই। এরপরই জবাব দেবে বিটিআরসি। তবে কত দিনের মধ্যে অপারেটরদের প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে সে বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। গতকাল বিটিআরসি কার্যালয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে অপারেটররা মূলত নিলামে তরঙ্গ শ্লট বরাদ্দ, নিলাম ডাকার সময়ে বিরতি এবং আরও কিছু বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি’র লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ বলেন, অপারেটররা নিলাম প্রক্রিয়ায় কিছু বিষয় নিয়ে পরিষ্কার হতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ১লা আগস্ট থ্রিজি আবেদনের শেষ সময়। অপারেটররা এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। আগামী ২রা সেপ্টেম্বর থ্রিজি নিলামের দিন রেখেছে বিটিআরসি। থ্রিজি নিলামের আগেই লাইসেন্সের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট কমানো এবং টু-জি লাইসেন্সের ভ্যাট ইস্যু নিয়ে জটিলতার অবসানের দাবি জানিয়ে আসছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। প্রতি মেগাহার্টজের তরঙ্গ মূল্য ২ কোটি ডলার নির্ধারণ করে গত ১২ই ফেব্রুয়ারি তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবার (থ্রিজি) লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। চূড়ান্ত নীতিমালায় বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরের মধ্যে তিনটি এবং নতুন একটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দেশের ছয় অপারেটরের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ইতিমধ্যে পরীামূলক থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে যে দর উঠবে, সেই টাকা দিয়ে লাইসেন্স নেবে। টেলিটকসহ মোট ৫ অপারেটর ১৫ বছরের জন্য থ্রিজি লাইসেন্স পাবে।
–