বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৩শ’ কোটি টাকার কাঁচামাল আমদানি করলেও তা দিয়ে তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানি করছে না দেশের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপইয়ার্ড।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির বিআইএন (বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সব আমদানি কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল হাকিম।
তিনি বলেন, আমদানিকারক আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড শ্লিপওয়েজ লিমিটেডের বিআইএন এরই মধ্যে লক করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতিষ্ঠানটির যে কোনো আমদানি কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে।
কাস্টমস হাউস সূত্র জানায়, চলতি বছরে ৩৭টি পণ্যের চালান আমদানি করে আনন্দ শিপইয়ার্ড। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা এসব কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে অ্যালমুনিয়াম, অ্যাংকর, স্টিল পাইপ, পাম্প, ক্ল্যাম্প প্রভৃতি। তবে এসব কাঁচামাল দিয়ে তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানির বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করেনি আনন্দ শিপইয়ার্ড।
সূত্র জানায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের বিরুদ্ধে গত রোববার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কাস্টমস হাউসে চিঠি দেওয়া হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা আনন্দ শিপইয়ার্ডের পণ্যের যে কোনো চালান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনাপত্তি পত্র ছাড়া যেন ছাড় করা না হয়।
সূত্র আরও জানায়, আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড শ্লিপওয়েজ লিমিটেড (বিন নম্বর-২১১৫১০০০৫৭৪) চলতি বছরের এই পর্যন্ত বন্ডের শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৩শ’ কোটি টাকার কাঁচামাল আমদানি করে। শর্ত থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি এসব কাঁচামাল দিয়ে তৈরি জাহাজ বিদেশে রপ্তানি করেনি। এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আনন্দ শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল বারীর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।