রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > তেলের নামে শত কোটি টাকার কোকেন আমদানি!

তেলের নামে শত কোটি টাকার কোকেন আমদানি!

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম ॥
চট্টগ্রাম: বিশেষায়িত ভোজ্যতেলের ঘোষণা দিয়ে একটি চোরাচালান চক্র ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের তরল কোকেন আমদানি করেছে বলে তথ্য পেয়েছে নিগর পুলিশ। এরপর পুলিশের দেয়া তথ্যমতে চট্টগ্রাম বন্দরে সন্দেহজনক কন্টেইনারটি সিলগালা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

শনিবার (৬ জুন) রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ৩ নম্বর ইয়ার্ডে অবস্থিত কন্টেইনারটি সিলগালা করা হয়। সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সোমবার (৮ জুন) সকালে কন্টেইনারটি খোলা হবে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, একটি কন্টেইনারে তেলের বদলে কোকেন আছে তথ্য পেয়ে আমরা সেটি সিলগালা করার অনুরোধ করেছিলাম। কন্টেইনারটি খুললে পুরো বিষয় পরিস্কার হবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.মালেকীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কন্টেইনারটি সিলগালা করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবী মার্কেট, ২৩২ খাতুনগঞ্জ ঠিকানা ব্যবহার করে সান ফ্লাওয়ার তেল আমদানির ঘোষণা দিয়ে এক কন্টেইনার (সিডিএইচইউ-৯১৪৫৭৬৯/১৯৩৮৪৪) পণ্য আমদানি করে খান জাহান আলী লিমিটেড। ওই কন্টেইনারে ১০৭টি ড্রামে ২ হাজার ১৪০ কেজি ‘তরল কোকেন’ রয়েছে।

সূত্র জানায়, সানফ্লাওয়ার তেলের নামে কোকেন আসছে এমন তথ্য পেয়ে শনিবার পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদারকে বিষয়টি অবহিত করেন।

উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) এস এম তানভির আরাফাতের নেতৃত্বে ডিবি’র একটি টিম বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামেন।

তদন্তে উঠে আসে নবী মার্কেট, ২৩২ খাতুনগঞ্জ ঠিকানা ব্যবহার করে খান জাহান আলী লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটি চালানটি আনে। এরপর শনিবার বিকেলে ওই প্রতিষ্ঠানটি ঘেরাও করে মালিক নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়। প্রতিষ্ঠানের গুদামেও তল্লাশি চালানো হয়।

নূর মোহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ও প্যাড ব্যবহার করে তারই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সোহেল নামে একজন কর্মকর্তা চালানটি বলিভিয়া থেকে আমদানি করেছে। এরপর পুলিশ সোহেলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানায় ইংল্যান্ডপ্রবাসী খালাত বোনের জামাই তার বন্ধুর মাধ্যমে বলিভিয়া থেকে চালানটি আমদানি করেছে। চালানে সানফ্লাওয়ার তেল আছে বলে সে জানে। কোকেন থাকার বিষয়টি সে অবগত নয় বলে পুলিশকে জানায়।

সূত্র জানায়, কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি ৩ নম্বর ইয়ার্ডে রয়েছে বলে জানায় সোহেল। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সিসিটি ইয়ার্ডে প্রবেশ করতে চাইলে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দেয়।

পরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদ গিয়ে কন্টেইনারটি সিলগালা করে দেন।

পুলিশেল বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কাস্টম ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সোমবার কন্টেইনারটি খোলা হবে বলে জানিয়েছেন বনজ কুমার মজুমদার।