শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > তুরস্কের নির্বাচনে জয় পেল একেপি

তুরস্কের নির্বাচনে জয় পেল একেপি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: সরকার গঠনে এই প্রথমবারের মতো জোট গঠন করতে হবে তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (একেপি)। গত রবিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বেশি আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি দলটি। এমনকি কমেছে ভোটের হারও। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
টানা ১৩ বছর একক সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে ক্ষমতা চালানোর পর চতুর্থবারের মাথায় অল্প আসনের জন্য তা হারিয়েছে দলটি। এবারের নির্বাচনে ২৫৮টি আসন লাভ করেছে তারা। সর্বশেষ ২০১১ সালের নির্বাচনেও ৩১১টি আসন লাভ করেছিল দলটি।
তুরস্কের ৫৫০ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে সরকার গঠন করতে হলে ২৭৬টি আসনের প্রয়োজন। এবার পর্যাপ্ত আসন না পাওয়ায় সরকার গঠনে জোট করতে হবে ইসলামপন্থী একেপি’কে।
আসনের পাশাপাশি ভোটের হারও কমেছে একেপি’র। এবার মোট ভোটের ৪১ শতাংশ লাভ করেছে দলটি। গত নির্বাচনে এ হার ছিল ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাকি দলগুলোর মধ্যে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) পেয়েছে ১৩২টি আসন ও মোট ভোটের ২৫ শতাংশ। ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) পেয়েছে ৮১টি আসন ও ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। এ ছাড়া চতুর্থ অবস্থানে থাকা পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) পেয়েছে ৭৯টি আসন ও ১৩ শতাংশ ভোট।
মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশ ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির আধাসরকারি সংবাদ সংস্থা আনাতোলিয়া।
বিজয় লাভের পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়েছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী ও একেপি নেতা আহমেত দভুতোগলু। আঙ্কারায় দলীয় সদর দফতরে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সব রাজনৈতিক দলকেই এই দায়িত্বকে সম্মান করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সূদুর অগ্রযাত্রার জন্য ১৩ বছর অল্প সময়। আরও বেশি কিছু করার আছে। আমাদের অগ্রযাত্রা চলবেই। আমরা নির্বাচন থেকে পাওয়া বার্তার মূল্যায়ন করব। পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা যাত্রা অব্যাহত রাখব।’
এদিকে এ ফলাফলে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও একেপি নেতা রিসেপ তাইপে এরদোয়ানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রশাসন সাজাতে চেয়েছিলেন তিনি।
এরদোয়ানের প্রস্তাবনাটি পাস করতে পার্লামেন্টে ৩৩০টি ভোটের প্রয়োজন হবে। পর্যাপ্ত আসন না পাওয়ায় তা হুমকির মুখে পড়ে গেল। কারণ বাকি দলগুলো তাকে সমর্থন দেবে না বলেই মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে অপর তিনটি প্রধান দলই।