বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
তিস্তা নদীতে পানির আগে বাম তীরে বাঁধ চাই’- এ দাবিতে গতকাল দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া চরে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন ওই গ্রামের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন তিস্তা নদীর পূর্বতীর রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ সারোয়ার হায়াত খান। তিনি বলেন, তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণের পর সেচ প্রকল্পের সার্বিক সুবিধা ভোগ করছে ডানতীরের কৃষক।
মাত্র ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরিগেশন করে লাভবান হলেও লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলায় নদীকবলিত ২৫টি ইউনিয়নে প্রায় সোয়া ২ লাখ পরিবার ফসলি জমিন, ভিটে মাটিসর্বস্ব নদীতে বিলীন হয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পরেছে। এমতাবস্থায় বর্ষা মওসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারণে ১০ হাজার হেক্টর জমি প্রতি বছরে তিস্তা নদীর করালগ্রাসে বিলীন হয়ে থাকে। এমনিভাবে এখন প্রায় ৬০ হাজার পরিবার সবকিছু হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে।
চলতি মওসুমে নদী জেগে ওঠা ধু ধু বালু চরে ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ভুট্টা, পিয়াজ, গম, আলু, রসুন ও ধনিয়া চাষ করে বাম্পার ফলন হওয়ায় তাদের হাসি ফুটেছে। এসময় ভুট্টা চাষি আবদুল লতিফ, সাহাদাত হোসেন, মিজু আহম্মেদ, সহিদুল ইসলাম, হায়দার আলী, মজিবর রহমান, আতিয়ার রহমান, সাইদুল ইসলাম ও এমদাদুল হকসহ অসংখ্য চাষি স্লোগান দিয়ে ওঠে আমরা ‘পানির আগে বাম তীরে বাঁধ চাই।’
চলতি শুষ্ক মওসুমে বাঁধ নির্মাণ শেষে আন্তর্জাতিক পানি বণ্টন আইনে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী পানি প্রবাহিত করতে হবে। অন্যথায় বর্ষা মওসুমে ব্যারেজের সম্পূর্ণ গেট বন্ধ করে ডান তীরের ক্যানেল দিয়ে পানি প্রবাহিত করতে হবে। সম্মেলনের সভাপতি আসছে বর্ষা মওসুমের আগেই বাম তীরে বাঁধ নির্মাণ করে সোয়া ২ লাখ পরিবারকে ক্ষতির হাত রক্ষা করার দাবি জানান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাটিকা পাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান লাভলু প্রমুখ ।
বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক