বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠক করে করণীয় ঠিক করছে তারা।
২৮ এপ্রিল একযোগে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে সার্বিক তৎপরতা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এজন্য জোটগতভাবে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও ভাবছে তারা।
বুধবার (১ এপ্রিল) বিকেলে আওয়ামী লীগ ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে মহানগর শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ, দুই সিটিতে পৃথক দু’টি নির্বাচনী অফিস স্থাপন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী নিশ্চিত করার বিষয়ে মতামত নেওয়া হয়েছে। একই দিন চট্টগ্রামেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও একক প্রার্থী নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
বৈঠকের বিষয়ে দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বাংলনিউজকে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন কীভাবে সুন্দর করা যায়, সে বিষয়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করেছি। এই বৈঠকে যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের ১১টি সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের মতামতও দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মূলত এটা ছিল সিটি নির্বাচন সমন্বয়ের মিটিং। সহযোগী সংগঠনগুলো নির্বাচনী কমিটি এবং নিজেদের প্রর্থীর বিষয়ে আমাদের কাছে রিপোর্ট দিয়েছে। আমরা বিষয়গুলো যাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা এমন প্রার্থী দেবো যার জনপ্রিয়তা ও গণভিত্তি আছে। আর ৮ তারিখের মধ্যেই আমরা এটা চূড়ান্ত করবো।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে আমরা দুই সিটিতে দু’টি নির্বাচনী অফিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য ইতোমধ্যেই দুই সিটিতে নির্বাচনী সমন্বয়কও নির্ধারণ করেছি। দক্ষিণে ড. আব্দুর রাজ্জাক, উত্তরে কর্নেল (অব.) ফারুক খান নির্বাচন সমন্বয় করবেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দলের প্রার্থীর তালিকা দিয়েছেন কিনা- জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, না। কোনো সংগঠনই এমন কোনো তালিকা দেয় নাই। তবে আমরা বলেছি, আমাদের সংগঠনের অনেকে প্রার্থী হতে ইচ্ছাপোষণ করেছেন, তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য। নির্বাচনী কাজের জন্য আমরা ওয়ার্ড, থানা, মহানগর ও কেন্দ্রের সমন্বয়ে নির্বাচনি কমিটি করেছি। এর একটা রিপোর্ট আওয়ামী লীগের কাছে দিয়েছি, যাতে সহজে সমন্বয় করা যায়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কৃষি সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
এর আগে, ৩১ মার্চ নির্বাচন নিয়ে একই স্থানে বৈঠক করে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট। সে বৈঠকে বিএনপি নির্বাচনে এলে জোটগতভাবে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম