সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > ‘তারেকের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, কী মধুর কথা’

‘তারেকের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, কী মধুর কথা’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ড. কামাল বিএনপির সঙ্গে জোট করেছেন আর বলছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। কী মধুর কথা!

সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, উনি (ড. কামাল) বলেছেন তারেক রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। কী মধুর কথা! যে বিএনপির চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এখন তারেক রহমান, সেই দলের (বিএনপি) সঙ্গে জোট করে বলছেন, তার (তারেক রহমান) সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। জনগণ কি বোকা? নিজেকে অনেক পণ্ডিত ভাবেন, জ্ঞানী ভাবেন। এই কারণে জনগণের কাছে আপনার কখনো আশ্রয় হয় নাই। জনগণকে বারবার ধোকা দেয়ার জন্যই ড. কামালের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ড. কামাল হোসেনের রাজনৈতিক জীবনে বেঈমানি ও মোনাফেকি ছাড়া কিছুই নেই। তিনি কখনও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেননি। একজন জনবিচ্ছিন্ন নেতা। যে দলটির শীর্ষ নেত্রীর দুর্নীতি দায়ে কারাগারে তিনি ( ড. কামাল হোসেন) সেই দলের সঙ্গে ঐক্য করেছেন। তিনি ঐক্য করেছেন সন্ত্রাস ও দুর্নীতির প্লাটফর্ম বিএনপির সঙ্গে। তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আমি এই ঐক্যের ধিক্কার জানাই।

তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন ও মইনুল হোসেনদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিএনপি থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করা। বিএনপির নেতারা আজকে যে মামলায় বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি করছে সেই মামলার মূল হোতা ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি এই মামলাটি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ঐক্যের নামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ফর্মুলা তৈরি করছে। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচনের আগে ২১ আগস্টের হামলাকারীদের সঙ্গে সংলাপে বসা হবে না। নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্র করা হলে দেশের জনগণ প্রতিহত করবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. সামসুল আলম বকুলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেব বক্তব্য দেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম। এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।