শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > তারেককে খালাস দেওয়া বিচারকের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

তারেককে খালাস দেওয়া বিচারকের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সদ্য অবসরে যাওয়া বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য একজন কর্মকর্তাও নিয়োগ করেছে সংস্থাটি।

একই সঙ্গে মোতাহার হোসেনের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুদক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরে সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।

‘অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার’-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন। সে সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান।

গতকাল সোমবার মোতাহার হোসেনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান ও বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. শাহাবউদ্দিন।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত সূত্র জানায়, দুই সপ্তাহ আগে মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে সংস্থাটির কাছে। এসব অভিযোগ নিজস্ব সূত্রে খবর নেয় সংস্থাটি। অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই বিস্তারিত অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, বিচারক মোতাহার হোসেনের নামে বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর ছেলে লন্ডনে থেকে পড়াশোনা করেন। লন্ডনে মোতাহার হোসেন বাড়ি কিনেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে তিনি সম্প্রতি দুটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। এ ছাড়া তাঁর গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষি-অকৃষি জমি কিনেছেন। দুদক সূত্র জানায়, তাঁর দৃশ্যত সম্পদের সঙ্গে আয়ের যথেষ্ট অমিল রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোতাহার হোসেনকে পাওয়া যায়নি।

২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। গত বছরের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।