বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদশ-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সংশোধিত আইনে ন্যূনতম ৭ বছর ও সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২০০৬ সালে প্রণীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার বিধান ছিল।
এছাড়া সংশোধিত আইনে কয়েকটি অপরাধ জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) অধ্যাদশে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
গত ৫ মে রাতে হেফাজতকর্মীদের সরাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পর জামায়াতপন্থি হিসেবে পরিচিত ফেইসবুক পেইজে এ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়।
এছাড়া ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার’ মতো লেখালেখির অভিযোগে ব্লগার মশিউর রহমান বিপ্লব, সুব্রত অধিকারী শুভ, রাসেল পারভেজ ও আসিফ মহীউদ্দিন; আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে এ আইনের মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে প্রথম চারজন এখন জামিনে রয়েছেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের জানান, আগের আইনে শাস্তি অপর্যাপ্ত ও অস্পষ্ট ছিল। এজন্য সংশোধিত আইনে ন্যূনতম ৭ বছর ও সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া নতুন আইনে কয়েকটি অপরাধ জামিন অযোগ্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগের আইনে কিছু অপরাধ নন-কগনিজেবল ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নতুন আইনে এ ধরনের সব অপরাধই হবে কগনিজেবল অর্থাৎ পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে পারবে।
আগের আইনে সব অপরাধ জামিন যোগ্য ছিল বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এতদিন এ আইনে মামলা করতে হলে পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হতো। কিন্তু নতুন আইনে পুলিশ অপরাধ আমলে নিয়ে মামলা করতে পারবে।