দৈনিক বাংলাভূমি ডেস্ক:
এ বছর ডেঙ্গুর নতুন কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মৃত্যুর হারও বেশি। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে ডেঙ্গুর একটি লক্ষণই গুরুত্ব পাচ্ছে। সেটি ডেঙ্গু জ্বর। রোগী মারাও যাচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু চিকিৎসা ও ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনাবিষয়ক নির্দেশিকায় ডেঙ্গুর চারটি লক্ষণের কথা উল্লেখ আছে—ডেঙ্গু জ্বর, ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার, ডেঙ্গু শক সিনড্রোম ও এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোম।
জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ নিয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ঢালাওভাবে—এমন তথ্য দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণেই এমনভাবে তথ্য দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচিত তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে আরও সচেতন ও মনোযোগী হওয়া।
এ বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়া অনেক রোগী দেখছি, যাঁদের জ্বর বেশি দেখা যাচ্ছে না। শরীরে তীব্র ব্যথার কথা অনেকেই বলছেন না। বেশি কিছু বুঝে ওঠার আগেই অল্প সময়ের মধ্যে রোগী শকে চলে যাচ্ছেন, অর্থাৎ রক্তে অণুচক্রিকা কমে আসছে, রক্তক্ষরণ হচ্ছে, রোগী অচেতন হয়ে পড়ছেন। ডেঙ্গুর এই লক্ষণ আমরা আগে দেখিনি
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ
ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশাছবি: রয়টার্স
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগে দেখেছি ডেঙ্গুতে শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে, শরীরে তীব্র ব্যথা হয়। চার–পাঁচ দিন পর জ্বর ভালো হয়ে যায়। তারপর থেকে রক্তে অণুচক্রিকা কমতে থাকে। তখনই বিপদের ঝুঁকি দেখা দিতে থাকে। এটাই আমাদের জানা ছিল।’