স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: আগামী দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস) সুবিধা ফিরিয়ে আনা ও ইউরোপের বাজারের জিএসপি রক্ষায় সরকারকে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
এ জন্য তারা পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, ডিসেম্বরের পরে ইইউ জিএসপির ব্যাপারে নতুন নিয়ম করতে পারে বলে জানা ইইউ সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জিএসপি সুবিধা বাতিল বা স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন নিয়ম চালু করার কথা রয়েছে। সেই সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ইইউকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সে কারণে পোশাক কারখানায় শ্রমমান ও কর্মপরিবেশ উন্নত করার প্রতিও নজর দিতে বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তারা।
অপরদিকে, ইইউ ডেলিগেশনের এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জিএসপি স্থগিত করার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি জানান, তবে এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় শ্রমমান ও কর্মপরিবেশ উন্নত করলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নেতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ। গত বছর ইইউতে নয়শ ২১ কোটি ডলারের রফতানি হয়েছে, যার ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শতভাগ এখন শুল্কমুক্তভাবে ইইউতে রফতানি হয়।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সিএম শফি সামি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) স্থগিতের কথা উঠতে পারে। তাই, যে কোনো মূল্যে ইইউ বাজারে জিএসপি রক্ষা করতে হবে। কারণ, ইইউ’র বাজারে জিএসপি সুবিধা বাতিল হলে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য ভয়ঙ্কর বার্তা বয়ে আনবে।
তিনি আরো জানান, এ জন্য পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আরো তত্পর হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।