শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ডাটাবেজের আওতায় আসছে দেশের সেতু-কালভার্ট

ডাটাবেজের আওতায় আসছে দেশের সেতু-কালভার্ট

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে সফটওয়্যার সিস্টেম প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। যাতে দেশের সকল সেতু ও কালভার্ট ডাটাবেজের আওতায় আনা সম্ভব হয়।

সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের সময় ডিভাইস স্থাপন করা হবে। এর পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহের জন্য সেতুর পাশে লোকবল নিয়োগ করা হবে। যারা সেতুর কোনো সমস্যা হলে কেন্দ্রে তথ্য পাঠিয়ে দেবে। ফলে মন্ত্রণালয় ভাঙ্গাসেতু মেরামতে দ্রুত অ্যাকশন নেবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমানোও সম্ভব হবে।

‘ব্রিজ ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ২৩ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্প শুরু করতে চায় মন্ত্রণালয়। এই টাকা খরচ করে জাপানি পরামর্শক, ডিজাইনার, আউটসোর্স স্টাফ,কম্পিউটার, পরিবনহনসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা হবে। স্বল্পপরিসরে প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে বৃহৎ পরিসরে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

সেতু ব্যবস্থাপনা বিভাগরে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পরিমল বিকাশ সূত্রধর বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ডাটাবেজ তৈরি করবো। যাতে করে দ্রুত সব সেতুর তথ্য পাওয়া যায়। এর পরে ধারাবাহিকভাবে নতুন ও পুরাতন সেতু ও কালভার্টে ডিভাইস স্থাপন করবো। যেসব সেতুতে ডিভাইস স্থাপন করার প্রয়োজন নেই সেখানে স্থানীয়দের অন্তর্ভূক্ত করবো। ফলে দ্রুত সময়ে আমরা সেতু ও কালভার্টের তথ্য পাবো। তথ্য পাওয়ার পর পরই অ্যাকশন নেওয়া সহজ হবে’।

প্রকল্পটি গ্রহণের যৌক্তিকতার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেই এই উন্নতি। বর্তমানে দেশে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন সেতু-কালভার্ট নির্মাণের দিকে অধিক মনযোগ থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি উপেক্ষিত। ফলে অনেক সেতু-কালভার্ট  নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষিতে প্রকল্পটি গ্রহণ করছি। সেতু রক্ষণাবেক্ষণে সফটওয়্যার সিস্টেম প্রণয়ন করবো। যাতে করে সেতু অকেজো হলেই আমরা খবর পাই এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারি’।

তিনি বলেন, বিদেশি পরামর্শকের সেবা ও সফটওয়্যার সিস্টেম প্রণয়নে আইটি খাতে ৪ কোটি টাকা খরচ করা হবে। মূলত সপ্তম পঞ্চবার্ষী (২০১৬-২০২০) পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে ডিপার্টমেন্ট থেকে জানা গেছে, এই সময়ে ১৪ হাজার ৮শ’ মিটার সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এর পাশাপাশি ৬ হাজার ৮শ’ মিটার মেরামত করা হবে। সব সেতু ও কালভার্ট ডাটাবেজের আওতায় আসবে।

সওজ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাসেম ভুইঞা বাংলানিউজকে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা প্রচুর সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করেছি। কিন্তু কোনো ডাটাবেজ তৈরি করিনি। আমরা সফটওয়্যারের মাধ্যমে সারাদেশের সেতু ও কালভার্টের ডাটাবেজ তৈরি করবো। ফলে কোন সেতুর কি অবস্থা মুহুর্তের মধ্যে জানতে পারবো। কোন সেতুর কি অবস্থা এখন জানতে হলে তথ্যের জন্য বস্তা খুঁজে দেখতে হয়। কারণ সেতুর তথ্য বস্তা বন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। অনেক তথ্যের বস্তা হারিয়েও গেছে। আমরা সেতু ও কালভার্টের সব তথ্য আর্কাইভে সংরক্ষণ করবো। নতুন সেতু-কালাভার্টের পাশাপাশি পুরাতনগুলোকেও এই পদ্ধতিতে নিয়ে আসবো। বর্তমান যুগে সবই হবে ডিজিটাল’। বাংলানিউজ