বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: আমরা প্রায়ই ভুলে যাই গাছ আমাদের কত বড় বন্ধু। গাছ কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করে বলে আমরা শ্বাস নিতে পারি। গাছ আমাদের ছায়া দেয়, আশ্রয় দেয়, খাবার দেয়।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আমরা যখন বুক ভর্তি তাজা নিঃশ্বাস নেই তখন এ কথাগুলো মনে পড়লে হয়তো আমরা অনেকেই নিকটবর্তী কোনো গাছকে জড়িয়ে ধরে বলতাম ‘ধন্যবাদ’।
বাংলানিউজের ‘পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য’ পাতার পাঠদের কিছু গাছের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।
নির্দ্বিধায় স্বীকার করা যায়, সব গাছই ঠিক গাছ না। তবে গাছের তালিকায় নিয়ে আসা হয় কেননা এগুলো যেমন অসাধারণ সুন্দর, তেমনই বিশাল।
এর মধ্যে উইসটেরিয়াকে বলা যেতে পারে এক ধরণের লতা, রোডোডেনড্রনকে বলা যেতে পারে ঝোপ আর বাঁশকে নানা কারণে ঘাস পরিবারের সদস্য ধরে নেয়া হয়। তারপরও এগুলো গাছ!
কানাডার ১২৫ উর্ধ্ব রোডোডেনড্রন গাছ
প্রাচীন গ্রিক শব্দ ‘রোডোন’, এর ইংরেজি সমার্থক শব্দ ‘রোজ’ অর্থাৎ গোলাপ এবং ‘ডেনড্রন’ হলো ‘ট্রি’ অর্থাৎ গাছ। সাধারণত এ প্রজাতির গাছকে ঝোপ শ্রেণির মধ্যে ধরা হয়। কিন্তু এর সৌন্দর্যের কারণে নিশ্চয়ই আপনি নির্দ্বিধায় একে গাছ বলে স্বীকার করবেন।
জাপানের ১৪৪ বছর বয়সী উইসটেরিয়া গাছ
এই অসাধারণ ছবি দেখলেই মনে হবে সন্ধ্যার পরে আকাশ যেন গোলাপী আর বেগুনী রঙে সেজেছে। জাপানের যে কাউকে প্রশ্ন করলে তিনি আপনাকে আসিকাগা ফ্লাওয়ার পার্ক’র পাশে ১৯৯০ বর্গ মিটার জুড়ে বিস্তৃত গাছ দেখিয়ে বলবে এটিই সবচেয়ে প্রাচীন উইসটেরিয়া। এটি লতা প্রজাতির মধ্যে পড়লেও দেখতে একদম গাছের মতো।
নিউজিল্যান্ডের উইন্ড-সুইপ্ট ট্রি
গাছটি দেখতে যতো সুন্দর, ততটাই উপকারী। অনেকটা আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির মতো। পৃথিবীতে অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে প্রকৃতির নিয়মই চূড়ান্ত। তেমনই একটি জায়গা নিউজিল্যান্ডের স্লোপ পয়েন্ট। এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সাগরের প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়। এই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও আপনি ভিন্ন ধরণের সৌন্দর্য খুঁজে পাবেন। বাতাসের কারণে ভিন্ন আকার ধারণ করা উইন্ড-সুইপ্ট ট্রি সত্যিই চমৎকার।
অরেগন পোর্টল্যান্ডের বিউটিফুল জাপানী ম্যাপল
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম