রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ট্রাফিকিং শুধু পুলিশের ওপর নির্ভর করেনা : আইজিপি

ট্রাফিকিং শুধু পুলিশের ওপর নির্ভর করেনা : আইজিপি

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর : পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘মহাসড়কে ট্রাফিকিং শুধু পুলিশের ওপর নির্ভর করেনা। আরো অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে এর সাথে। মানুষ রাস্তার কতোটুকু অংশ ব্যবহার করছে, রাস্তা কিভাবে তৈরি হয়েছে এবং কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে তার ওপরও নির্ভর করে। এনফোর্সমেন্টের একটি বিষয় পুলিশ দেখে। বিআরটিসহ অন্যান্য অনেক সংস্থা এনফোর্স করে। অন্যান্য সংস্থাগুলো আছে তারাও এনফোর্স করে। হাইওয়ে গুলোতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ মিলে এনফোর্স আমরা এনফোর্স করার চেষ্টা করছি।’
বুধবার দুপুরে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়কের হালচাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এসময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো: আতিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি (প্রশাসন) মো: আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
আইজিপি আরও বলেন, ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার কারণে মহাসড়কে গাড়ীর বাড়তি চাপ রয়েছে। অন্যান্য সময়ের চাইতে এখন অনেক বেশি গাড়ী চলাচল করছে। প্রতিটি রাস্তার একটি ধারণক্ষমতা থাকে। ধারণ ক্ষমতার বেশি পরিবহন থাকলে বাড়তি চাপ থাকবেই। ঢাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তাগুলোর মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল হাইওয়েসহ প্রতিটি হাইওয়েতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত জনবল দেয়া হয়েছে। সমন্বয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোলরুম স্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও ওয়াচ টাওয়ার, চেকপোস্ট রয়েছে। সার্বিক ব্যবস্থপনায় আশা করা যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে।
মহাসড়কে জলাবদ্ধতায় যান চলাচলে বিঘ্নের ব্যাপারে আইজিপি বলেন, টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো রাস্তার অর্ধেক জুড়েই ড্রেনের পানি। ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করছি কাজ করছে। তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থাতেও ধারণক্ষমতা রয়েছে। যখন অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় তখন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ করছে না বলে মনে হয়। জলাবদ্ধতা ছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে রাস্তা ঠিকমতো ব্যবহার করা যাচ্ছেনা।
অতিরিক্ত ভাড়া, যাত্রি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, প্রতিটি পরিবহন সেক্টরসহ মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। হাইওয়ে কর্তৃপক্ষও তাদের সঙ্গে নিয়মিত বসছে। রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশসহ সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর বাইরেও যদি কোন ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন হয় তবে সেই ব্যবস্থাও নেয়া হবে। অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির বিরুদ্ধে পুলিশি তৎপরতা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি চক্র ধরা পড়েছে। এসব চক্রের কাছ থেকে যাত্রীদেরও সতর্ক থাকতে হবে। অপরিচিত কারো কাছ থেকে কোন কিছু গ্রহণ করা কোনক্রমেই উচিত হবেনা। নিজের নিরাপত্তা আগে নিজেকেই দেখতে হবে।