বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১ বছর পরও স্বজনরা খুঁজে পাননি শতাধিক লাশের পরিচয়। ১০৫টি লাশের পরিচয় অশনাক্ত রেখেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষা। তবে, এ বিষয়ে জমা দেয়া চূড়াšত্ম প্রতিবেদনে ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিতদের জন্য ডিএনএ ডাটাবেজ গঠনসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব।
মানুষের হাতে হাতে ছবি। স্বজনের খোজে অশ্রুময়, উন্মুখ দু’চোখ। দুর্ঘটনার পর থেকেই হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটির লাশ তারা খুঁজে ফিরেছেন সাভারের হাসপাতালগুলোতে, ঢাকা মেডিকেল কিংবা মিটফোর্ডের মর্গে। না, সে অপেক্ষা ফুরোয়নি ১ বছর পরও। এখনো জানা যায় নি ১০৫টি মরদেহের পরিচয়।
শনাক্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে নেয়া হয় ৩২২টি লাশ আর ৫৫৬ স্বজনের নমুনা। এর মধ্যে পরিচয় মিলেছে ২০৬ জনের। প্রায় ১ বছর পর গত ৯ই এপ্রিল এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া চূড়াšত্ম প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিতদের জন্য ডিএনএ ডাটাবেজ; দুর্ঘটনার পর ডিএনএর নমুনা রেখে লাশ স্বজনদের কাছে হ¯ত্মাšত্মর; দুর্ঘটনাস্থলের পাশে অস্থায়ী মর্গ তৈরীসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়।
ঢামেক ফরেনসিক ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ডা. আখতারুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘রানা প্লাজার ঘটনায় প্রতিটি সেম্পলের ক্ষেত্রে আমরা প্রতিটি প্রোফাইল পেয়েছি, আমাদের কারিগরি সক্ষমতাও রয়েছে, শুধু রিজনগুলো বাইরে থেকে আনতে হয়, এই রিজনগুলো কিনে আনার জন্য যেই ফাইনেনসিয়াল সাপোর্ট দরকার সেটি হলেই কাজ সম্ভব।’
আর ডিএনএ বিশেষজ্ঞ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘লাশ সনাক্তকরণের জন্য যেই ল্যাবরেটরি দরকার সেটি স্থাপন করতে হবে, ডিএনএ ব্যবহারের যেই খরচ সেটির ব্যাপারেও রাষ্ট্রকে একটি ইনভেস্টমেন্ট রাখতে হবে।’
প্রাথমিকভাবে পরিচয় না পাওয়া ২৯১টি লাশ দাফন করা হয়েছে জুরাইন কবরস্থানে। এর মধ্যে যাদের পরিচয় মেলেনি ক্ষতিপূরণের অর্থও পাচ্ছেন না স্বজন হারা পরিবারগুলো। তবে এ ব্যাপারে বিজিএমইএ একটি সমন্বিত সেল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। সময় টিভি