বিনোদন ডেস্ক ॥
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলের শিকার হয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি বিরক্ত ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
যারা তাকে নিয়ে ফেসবুকে এমন ট্রল করছেন তাদের মানসিকতায় সমস্যা আছে বলে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নারীরাও তাকে নিয়ে ট্রল করায় অনেকটাই বিস্ময় ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন এই অভিনেত্রী।
তার বক্তব্যকে সামাজিকমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন,‘আমি এই কথা বলিনি যে সারাদেশের নারীদের ‘ব্লাউজ’ আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। আমি অন্য কিছু বলেছিলাম। কিন্তু সেই বিষয়টাকে এড়িয়ে ব্লাউজকে জাতীয় ইস্যু বানানো হলো।’
তাকে হাসির পাত্রী বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। যারা অন্যের অসম্মান করতে পারলে আনন্দ পান তারাই এমনটা করছেন বলে জানিয়েছেন অঞ্জনা।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘ব্লাউজ নিয়ে ট্রল করে কী দেশের নারীদের অসম্মান করা হচ্ছে না?’
উল্লেখ্য, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অভিনেত্রী অঞ্জনা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সক্ষমতার প্রসঙ্গে ব্লাউজ নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। এটি খুব দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রলড আকারে ভাইরাল হয়ে যায়।
টকশোর ওই ভিডিও সম্পর্কে অঞ্জনা বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আমি দেখেছি। সেটি কিছু অংশ কেটে ট্রল করা হচ্ছে। আমি কী বলতে চেয়েছি তা বুঝতে সক্ষম হয়নি অনেকেই।’
ওই টকশো তে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে‘ব্লাউজ’প্রসঙ্গ কেন এনেছিলেন সে ব্যাখ্যা দেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অঞ্জনা। সোমবার দুপুরে চিত্রনায়িকা অঞ্জনা বলেন, ‘বছর ৩০ আগে যখন আমরা গ্রামে শুটিংয়ে যেতাম, দেখতাম নিম্নবিত্ত নারীরা একটা শাড়ি প্যাঁচিয়ে শুটিং দেখতে আসছেন। তাদের শরীরে কোনো ব্লাউজ থাকতো না। শুটিং ইউনিটের সবাই তাদের দেখে বিব্রত হতো।’
তারা কেন ব্লাউজ পরে না সে প্রশ্নের উত্তরে তারা বলতো, ‘টাকার অভাবে ব্লাউজ কেনার সামর্থ হয় না। বহু কষ্টে একটা শাড়ি জোটে কপালে।’
এরপর তিনি জানান, অথচ সেইসব অঞ্চলের নারীরা এখন ব্লাউজ পরছে, ম্যাক্সিও পরছে। তাদের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটেছে। গ্রামের মানুষ এখন নিজেদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে। গ্রামীন নারীদের জীবন যাপনে পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো।