বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
টেন্ডার বিলম্বের কারণে পিছিয়ে পড়ছে মেট্রো-রেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। তবে প্রকল্পের আটটি নির্মাণ কাজের মধ্যে ভূগর্ভস্থ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া বাকি ৭টি নির্মাণ কাজ টেন্ডারজনিত জটিলতায় পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে টেন্ডার বিলম্বের যথাযথ কোনো কারণ জানা যায়নি। বিলম্ব স্বত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ আশা করছে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
২০১৯ সালের মধ্যে ২০ কি.মি. রেলের ওভারপাসেস এর এক তৃতীয়াংশ নির্মাণ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শুরু করার ৯ মাস হয়ে গেলেও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক মোফাজ্জেল হোসেন বলেন,গত বছর এই প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু জুলাই মাসে গুলশানে জঙ্গী হামলার পর এর কাজে বিলম্ব ঘটে। ঐ হামলার পর জাপানের বিনিয়োগকারী ও পরামর্শদাতারা নিরাপত্তাজনিত কারণে বাংলাদেশে আসতে ভয় পাচ্ছিল। এই কারণে প্রকল্পের কাজ অনেকটা পিছিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করব উত্তরা থেকে আগারগাঁও এর নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ করার। গত বছর জুলাইয়ে শুরু হওয়া আগারগাঁও থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর পর্যন্ত ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কাজ প্রায় শেষ। ত্াছাড়া আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ইউটিলিটি লাইন নির্মাণ আগামী নভেম্বরে শুরু হবে বলে আশা করছেন তিনি। কাজীপাড়া,শ্যাওড়াপাড়া ও পল্লবী স্টেশনের ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কাজ শেষ হয়েছে। ১৬টি স্টেশনের মাটি পরীক্ষাও শেষ হয়েছে।
স্টেশন নির্মাণ এবং বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক সরঞ্জাম নির্মাণ এর দরপত্র প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া ২৪টি রেলগাড়ি কেনা, ১৪৪টি ইঞ্জিন কেনা এবং ডিপো সরঞ্জামের জন্য দরপত্রের আলোচনা চলছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন,আমরা প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের তালিকা সংগ্রহ করেছি এবং তাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।
উল্লেখ্য,২০১৬ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনামেট্রোরেল এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি জাইকা ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে। বাকি প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে। ২০২০ সালের মধ্যেই মতিঝিল পর্যন্ত এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে। আর ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেল বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে। এ রুটে প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে। রাজধানীতে পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেলের আরও চারটি রুটে নির্মাণ করা হবে। ডেইলি স্টার থেকে