বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > টি-টোয়েন্টি সিরিজও পাকিস্তানের

টি-টোয়েন্টি সিরিজও পাকিস্তানের

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ক্যারিবীয় সফরের শুরুটা হয়েছিল জয় দিয়ে। সফরের শেষ ম্যাচেও জয় পেল পাকিস্তান। উমর আকমলের ঝড়ো ব্যাটিং আর পাকিস্তানের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে রোববার রাতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১১ রানে হারিয়েছে সফরকারীরা। ৩-১-এ ওয়ানডে সিরিজ জেতা পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ২-০ ব্যবধানে।
রোববার পাকিস্তানের ভিত্তিটা অবশ্য মজবুত ছিল না। ৭ উইকেটে ১৩৫ রানকে টি-টোয়েন্টির বিচারে মামুলি বলাই চলে। তবে এ রানের পেছনে ছুটতে গিয়েই হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩৫ নয়, যেন তারা তাড়া করতে নামে ১৮৫ রান! টেনেটুনে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১২৪ রান।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করা পাকিস্তানের ইনিংসের কারিগর ছিলেন আহমেদ শেহজাদ ও উমর আকমল। শেহজাদ ইনিংস শুরু করতে নেমে ৪৬ বলে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। ৪টি চার ও দু’টি ছক্কা দিয়ে তিনি সাজান এ ইনিংস। আর ম্যাচ সেরা উমর আকমল পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে এসে দলকে এনে দেন সম্মানজনক এই স্কোর। ৪২ রানের তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তিনি উইকেটে এসে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন ক্রিজে। একটি ছক্কা ৩টি চারের সাহায্যে ৩৬ বলে তিনি খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস। বোলারদের নিয়ে ইনিংসের শেষ চার ওভারে ৩৮ রান সংগ্রহ করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন উমর। শেহজাদ ও উমর ছাড়া বাকি সবাই ব্যাটে ছিলেন চরম ব্যর্থ। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ১১* রান করেন গত ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া লেজের ব্যাটসম্যান জুলফিকার বাবর। সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে এ বাবরের হাতে। শেষ পর্যন্ত সফরকারীরা ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৩৫ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সুনীল নারাইন তিনটি ও স্যামুয়েল বাদ্রি নেন দুটি উইকেট।
১৩৬ রানের সহজ ল্েয খেলতে নেমে শুরুতেই ম্যাচটা কঠিন করে ফেলে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানেরা। ১৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন শীর্ষ চার ব্যাটসম্যান। সোহেল তানভির ব্যক্তিগত প্রথম দুই ওভারেই ফিরিয়ে দেন জনসন চার্লস (০) ও মারলন স্যামুয়েলসকে (১)। এ দুই ওভারে তানভির রান দেন মাত্র দু’টি। মোহাম্মদ হাফিজ প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও ডেঞ্জারম্যান ক্রিস গেইলকে ফিরিয়ে দেন ব্যক্তিগত ১ রানে। ১৭ রানে চার উইকেট হারানোর পর কিছুটা লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন ডোয়াইন ব্রাভো, সুনীল নারাইন ও কাইরন পোলার্ড। স্পিনার সুনীল নারাইনের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে নামানো হয় পোলার্ড ও স্যামির আগে। নিজের ব্যাটিংটাও এদিন দেখালেন তিনি। পঞ্চম উইকেটজুটিতে ব্রাভোর সঙ্গে ৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইংগিত দেন তারা। শেষ পর্যন্ত নারাইন ঝড়ো ব্যাটিং করে তিন চার একটি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে করেন ২৮ রান। আর ব্রাভো করেন ৪৪ বলে ৩৫ রান। তবে তাতে শেষ রা হয়নি। শেষের দিকে টিনো বেস্ট ৯ বলে ১৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেলেও দলের জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। ৯ উইকেটে হারিয়ে ১২৪ রান তুলতেই ফুরিয়ে যায় তাদের ওভার। পাকিস্তানের হয়ে সোহেল তানভীর, জুলফিকার বাবর ও সাঈদ আজমল প্রত্যেকে দু’টি করে উইকেট নেন। উমর আকমল নির্বাচিত হন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ে। আর সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হন জুলফিকার বাবর।

সংপ্তি স্কোর
পাকিস্তান: ১৩৫/৭ (শেহজাদ ৪৪, উমর ৪৬, হাফিজ ১০, বাবর ১১, নারাইন ৩/২৬, ব্রাভো ২/১৬, পোলার্ড ১/১৬, স্যামি ১/২০)
ও.ইন্ডিজ: ১২৪/৯ (ডোয়াইন ৩৫, নারাইন ২৮, পোলার্ড ২৩, বার্নওয়েল ১০, বেস্ট ১৭, আজমল ২/২১, বাবার ২/৩৭, তানভির ২/২০, হাফিজ ১/৯, আফ্রিদি ১/২৯)
ফল: পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ২-০তে সিরিজ জয়।
ম্যাচসেরা: উমর আকমল।
সিরিজ সেরা: জুলফিকার বাবর।